আগে দুই মেয়াদে চেয়ারম্যান ও একবার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন বিএনপি প্রার্থী ইকবাল আখতার খান কাফুর। আর বর্তমান মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল চলতি মেয়াদে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া মেয়র পদে আরেকজন প্রার্থী আছেন। তিনি ইসলামী আন্দোলনের মো. মশিউর রহমান।
বিএনপি প্রার্থী ইকবাল আখতার খান কাফুর বলেন, তিনি একাধিকবার মাগুরা পৌরসভার চেয়ারম্যান ও একবার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। নানা উন্নয়ন কাজ করে নাগরিকদের সেবা বৃদ্ধি করেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।
কাফুরের অভিযোগ, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে ক্ষমতাশীনরা তার অসংখ্য দলীয় নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী খুরশিদ হায়তার টুটুল বলেন, তিনি পৌর এলাকায় নতুন-নতুন রাস্তাঘাট, ব্রিজ, ড্রেন নির্মাণ করেছেন। পানি, বিদ্যুৎ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করে নাগরিক সেবার মান বাড়িয়েছেন। পৌরসভার একাধিক ঝুঁকিপুর্ণ বহুতল মাকের্ট ভেঙে পুনর্নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে পৌর শিশুপার্কসহ একাধিক বড়ো উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।
এবারও বিজয়ী হলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে মাগুরাকে দেশের মধ্যে মডেল পৌরসভায় রুপান্তরিত করবেন বলে আশা তার।
বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আহসান হাবিব কিশোর বলেন, বর্তমান মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুলের দল ক্ষতায় থাকায় তিনি পৌর এলাকায় নানা উন্নয়ন কাজ করেছেন। তবে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি।
তবে তিনি কুশলী, যে কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কাফুর বিজয়ী হবেন বলে তিনি আশাবাদী।
বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার চোখে পড়ছে না কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সরকারদলীয় সমর্থকরা তাদের প্রচারণায় বাধা দিচ্ছেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। এই ব্যাপারে তারা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছেন।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ কুন্ডু বলেন, “বিএনপি বরাবরই মিথ্যাচারের রাজনীতিতে অভ্যস্ত।”
সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার অমিত কুমার দাস বলেন, প্রথম শ্রেণির মাগুরা পৌরসভার মোট ভোটার ৭৬ হাজার ৮৯৩ জন। আগামী ১৬ জানুযারির নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের তিন জন; সাধারণ কাউন্সিলর এবং নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৪৭ জন প্রার্থী।
এবার প্রথম এই পৌরসভায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে।