রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ নির্দেশনা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার সূতিকাগার। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অনন্য ভূমিকা।
“মহামারীর জন্য যে সেশন জটের সৃষ্টি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে রাষ্ট্রপতি এখন থেকেই একটি রোডম্যাপ প্রণয়নের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পলিসি (এসওপি) প্রণয়নেরও পরামর্শ দিয়েছেন।”
সাক্ষাৎকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করোনাভাইরাস মহামারীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
উপাচার্য জানান, শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিনশ মৌলিক গবেষণা প্রকাশিত হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শত বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যকে তুলে ধরে একটি সেন্টেনারি মনুমেন্ট স্থাপন করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি লাঘবে এবার প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগের কথা রাষ্ট্রপতিকে বলেন উপাচার্য। মহামারীর সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কেও তিনি রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
উপাচার্য জানান, মহামারীর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য আবদুল হামিদকে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানান উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।