বিহারি ও রবিচন্দ্রন
অশ্বিনের চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনি টেস্ট ড্র করেছে ভারত। শেষ
দিনে অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে বিহারি ও অশ্বিন গড়েন ৬২ রানের জুটি। তবে তাদের
লড়াইয়ে রানের মূল্য সামান্যই। বলের পর বল,
ওভারের পর ওভার পার করে দুজন উইকেটে কাটিয়ে দেন ৪২.৪ ওভার!
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে
ঠিকমতো দৌড়াতে পারছিলেন না বিহারি। তবু হাল ছাড়েননি। দাঁতে দাঁত চেপে, মাটি কামড়ে পড়ে থেকে ১৬১ বলে খেলেছেন অপরাজিত ২৩
রানের ইনিংস। ম্যাচ শেষে বিহারির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন রাহানে।
অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়তে ৪২.৪ ওভার উইকেটে কাটিয়ে দেন হনুমা বিহারি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ছবি: বিসিসিআই
“আমরা আজ
একটা বিশেষ ইনিংস দেখলাম। আমি মনে করি, সেঞ্চুরির (২০১৯ সালে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে) চেয়েও তার এই ইনিংস আরও বেশি স্মরণীয়। বিশেষ করে চোট
পাওয়ার পর যেভাবে সে ব্যাট করেছে।”
“দলের
জন্য এরকম অনুপ্রেরণা, ক্ষুধা এবং মাটি কামড়ে উইকেটে পড়ে
থাকার মাধ্যমে একজনের মানসিক দৃঢ়তা বোঝা যায়। দল যা চায়, সেভাবেই
সে খেলেছে, পুরো কৃতিত্ব তার। চাপ ছিল, তা সত্ত্বেও যেভাবে সে ব্যাট করেছে, তা বিশেষ কিছু।”
সিরিজের তৃতীয় টেস্টের
এই ড্র জয়ের তুলনায় কোনো অংশেই কম নয় বলেও মনে করেন রাহানে।
“এটা
টেস্ট ম্যাচ জেতার মতোই দুর্দান্ত। বিদেশে এসে এরকম ম্যাচ খেললে সেটা বিশেষ কিছু
হয়। এটা জয়ের মতো ভালো।”
৪০৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায়
আগের দিন ফিফটি করেছিলেন ওপেনার রোহিত শর্মা। শেষ দিনে রিশাব পান্ত আগ্রাসী
ব্যাটিংয়ে ১১৮ বলে ৯৭ আর আপন ঢংয়ে চেতেশ্বর পুজারা ২০৫ বলে করেন ৭৭ রান। রাহানে
কৃতিত্ব দিলেন তাদেরও।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১১৮ বলে ৯৭ রান করেন রিশাব পান্ত। ছবি: বিসিসিআই
“বিহারি,
অশ্বিন, পান্ত, পুজারা
যেভাবে ব্যাট করেছে, তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। শুরুতে রোহিত
ভালো ব্যাট করেছে। প্রত্যেকে এগিয়ে এসেছে, কিন্তু শেষের দুজন
বিশেষ কৃতিত্বের দাবিদার।”
পান্তকে প্রমোশন দিয়ে এ
দিন পাঁচে নামিয়েছিল ভারত। কনুইয়ের চোটের কারণে আগের দিন কিপিং করতে না পারা পান্ত
ব্যাট হাতে খেলেন দুর্দান্ত ইনিংস। তরুণ কিপার-ব্যাটসম্যানের প্রশংসা করলেন
রাহানে।
“যেভাবে
সে খেলেছে, তা দুর্দান্ত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে ৯৭ রানে আউট
হয়েছে। হ্যাঁ, ও ক্যাচ ফেলতেই পারে। কিন্তু সে শিখছে,
সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আজ যেভাবে ব্যাট করেছে, তাতে
রিশাবের জন্য আমি সত্যিই খুশি। এটা সত্যিই বিশেষ ইনিংস।”