করোনাভাইরাস নিয়ে চলমান আতঙ্কের প্রভাবে কাঁচাবাজার থেকে
সুপারশপ সবখানেই কিছু না কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে এই স্থানগুলো পরিচ্ছন্নতা
রক্ষার বিষয়গুলো চোখে পড়বেই। তবে তা কখনই নিরাপদ নয়।
কারণ এই স্থানগুলোতে শুধু করোনাভাইরাস নয়, অন্যান্য অসংখ্য
ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ছড়িয়ে থাকে যা পুরোপুরি ধ্বংস করা সম্ভব নয় কখনই।
ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করলেও নিজের অজান্তেই
রোগ জীবাণুর সংস্পর্শে আপনি আসবেনই।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবলম্বন করা পরেও তাই সাবধান থাকতে
হবে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রকাশিত প্রতিবেদনের
আলোকে জানানো হলো এবিষয়ে বিস্তারিত।
বাজারে
‘কার্ট’: সুপারশপগুলোতে বাজার করতে গিয়ে প্রথমেই যে কাজটি করা
হয় তা হল ঝুড়ি কিংবা ‘কার্ট’ হাতে নেওয়া, যার হাতলগুলো প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ স্পর্শ
করেন। ফলে তাদের হাতে থাকা রোগ জীবাণু এগুলোতে লেগে থাকে এবং সহজেই সংক্রমিত হতে পারে
আপনার হাতে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি সুপারশপের প্রায় অর্ধেক ঝুড়ি
ও ‘কার্ট’য়ে থাকে ‘এনটেরোব্যাক্টেরিয়া’, যা অন্ত্রের বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী।
তাই ঝুঁড়ি বা ‘কার্ট’ ধরার আগে এর হাতলগুলো জীবাণুনাশক
‘ওয়াইপস’ দিয়ে মুছে নিতে হবে।
ফ্রিজের
দরজা: সুপারশপ থেকে মুদি দোকান, এখানে থাকা ফ্রিজের হাতলগুলোও
প্রতিদিন বহু মানুষ স্পর্শ করেন।
বিশেষজ্ঞদের জরিপ বলে, ফ্রিজের হাতলের প্রতি বর্গ ইঞ্চি
জায়গায় থাকে প্রায় ৩৩,৩৪০টি ব্যাক্টেরিয়া। এছাড়াও এই জায়গাগুলো রোগজীবাণু বংশবিস্তার
করে দ্রুত।
তাই সঙ্গে ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ নিয়ে যান এবং ফ্রিজের
হাতল স্পর্শ করার পরই তা দিয়ে হাত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
আর মনে রাখতে হবে, এগুলো স্পর্শ করার পর মুখ কিংবা চেহারা
স্পর্শ করা নিষিদ্ধ।
হিমায়িত
খাবার: হিমায়িত যে কোনো খাবার কেনার আগে নিশ্চিত করতে হবে যে
তা পুরোপুরি হিমায়িত আছে এবং প্যাকেটে কোনো ফুটো নেই বা পানি পড়ছে না। প্যাকেট ছিড়ে
গেলে রোগ-জীবাণু তাতে খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারে এবং তা খেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা
থেকেই যায়।
বাজারের
ব্যাগ: পলিথিন বর্জন করতে হয়ত বাসা থেকেই বাজারের ব্যাগ নিয়ে
যাচ্ছেন। সেই উদ্দেশ্য অবশ্যই ভালো। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তা পুরোপুরি নিরাপদ নয়।
বিশেষত কাঁচাবাজারের ক্ষেত্রে।
বাজারের মতো রোগজীবাণুতে ভরা জায়গা থেকে ঘুরে আসা এই
ব্যাগে শুধু সদাই নয়, জীবাণুও ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার প্রতিবার ব্যবহারের পর তা ভালোভাবে
পরিষ্কার করা না হলে ওই ব্যাগই হয়ে ওঠে রোগ-জীবাণুর কারখানা।
তাই এক ব্যাগ একবার ব্যবহার করাই ভালো। আর একাধিকবার
ব্যবহার করতে চাইলে প্রতিবার ব্যবহারের পর ব্যাগ ভালোভাবে পরিষ্কার করা অর্থাৎ জীবাণুনাশক
দিয়ে অবশ্যই ধুয়ে নিতে হবে।
ছবি:
রয়টার্স।
আরও
পড়ুন
রান্নার আগে খাবার পরিষ্কার করতে
যেসব খাবার এক সঙ্গে রাখা উচিত নয়