ঠিক
তিন মাস আগে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণের
প্রথম ঘটনাটি জানা গিয়েছিল। সেই ভাইরাস এখন ছড়িয়েছে পড়েছে ১৭৭টি দেশে। আক্রান্তের সংখ্যা সাত লাখ ২৩ হাজার ছাড়িয়ে
গেছে, একদিন আগেও যা ছয় লাখ
৬২ হাজারে ছিল।
রয়টার্স
জানিয়েছে, যেসব দেশে নভেল করোনাভাইরাসজনিত রোগ কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব
দেখা দিয়েছে, তার মধ্যে ১২০টি দেশ থেকে এ পর্যন্ত মৃত্যুর
খবর এসেছে।
৩৪
হাজার মৃত্যুর ঘটনার অর্ধেকেরও বেশি ঘটেছে ইউরোপের দুই দেশ ইতালি ও স্পেনে। এর
মধ্যে কেবল ইতালিতেই মারা গেছে ১০ হাজার ৭৭৯
জন, আর স্পেনে মৃত্যুর
সংখ্যা ৬ হাজার ৮০০
ছাড়িয়েছে।
জনস
হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড
ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসএসই) এর এ সঙ্কটের
শুরু থেকে যে টালি করছে,
তাতে এখন আক্রান্তের সংখ্যা সংখ্যায় শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্বের
সবচেয়ে বড় অর্থনীতির এই
দেশে ১ লাখ ৪২
হাজার ৫০২ জন ইতোমধ্যে আক্রান্ত
হয়েছেন, মৃত্যু ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার। সিএনএন এর হিসাবে সেখানে
এখন মাত্র দুটি রাজ্য থেকে কোনো মৃত্যুর খবর এখনও আসেনি।
এই
মহামারী নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলে আসা প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প রোববার প্রথমবারের মত স্বীকার করেছেন,
পরিস্থিতি এরকম চললে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা লাখের ঘরেও পৌঁছাতে পারে।
ভাইরাসের
বিস্তার ঠেকাতে সবাইকে ঘরে থাকার যে নির্দেশ দেওয়া
হয়েছিল, তা পুরো এপ্রিল
মাসই কার্যকর থাকবে বলে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন।
আক্রান্তের
সংখ্যায় এর পরের অবস্থানে
থাকা ইতালিতেও সংক্রমণের ঘটনা লাখ ছুঁই ছুঁই করছে। তবে নভেল করোনাভাইরাসের উৎসস্থল চীন গত এক মাসে
পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। মার্চের শুরুতে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৯ হাজার, আর
মাসের শেষে হয়ে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজার ১৪৯
জনে।
কিন্তু
ইউরোপে ইতালির পর সবচেয়ে বাজে
অবস্থায় থাকা স্পেনে দ্রুত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে,
কেবল শনিবারই সেখানে ৮৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আক্রান্তের
সংখ্যা পঞ্চম স্থানে আছে জার্মানি। এখানে মোট আক্রান্ত ৬২ হাজার ৪৩৫
জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪১ জনে। ফ্রান্সে রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০ হাজার ৭২৩,
মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৬১১
জনের।
মধ্যপ্রাচ্যের
দেশ ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ হাজার ৩০৯,
আর মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৬৪০ জনের। যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের বেড়ে ১৯ হাজার ৭০০
ছাড়িয়েছে, মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১২ শ’।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানককও
আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন।
এশিয়ায়
চীন ও ইরানের পর
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে মোট আক্রান্ত নয় হাজার ৬৬১
জন, মৃত্যু হয়েছে ১৫৮ জনের।