বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পটুয়াখালী
লঞ্চঘাট সংলগ্ন মাঝনদীতে থাকা অবস্থায় এ আদেশ দেয় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
অমিত রায়ের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
‘সুন্দরবন-১৪’ নামের এই
লঞ্চে সুপারভাইজার, মাস্টার, সুকানিসহ ৩৬ জন থাকলেও কোনো যাত্রী নেই বলে কর্তৃপক্ষ
জানিয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক
অমিত রায় সাংবাদিকদের বলেন, আইইডিসিআরের নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকাফেরত যাত্রী বা লোকদের
কোয়ারেন্টিনে থাকার বাধ্যবাধকতা থাকায় ওই লঞ্চের সকল স্টাফকে লঞ্চেই কোয়রেন্টিনে থাকার
নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
“তারা যেন তীরে জনমানুষের
সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে সেটা নিশ্চিত করার জন্য পটুয়াখালী নদীবন্দরের
সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
এ ছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কীভাবে তারা ঢাকা থেকে পটুয়াখালী এসেছে সে বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন
জমা দিতেও বলা হয়েছে বলে অমিত জানান।
লঞ্চের সুপারভাইজার ইউনুস
মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীতে দূষিত পানির দুর্গন্ধে টিকতে না পেরে বৃহস্পতিবার
সকালে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশে যাত্রীবিহীন রওয়ানা হন তারা। রাত আনুমানিক সাড়ে
১০টার দিকে তারা পটুয়াখালী নদীবন্দরের কাছাকাছি নদীতে অবস্থান করছিলেন।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশ
মোতাবেক তারা ১৪ দিন নদীতেই লঞ্চে কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করবেন বলে জানান ইউনুস।