এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক তদন্তে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার ১-এর এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের অতিরিক্ত ডিসি (এডিএম) আবুল কালাম।
হল-মার্ক গ্রুপের আড়াই হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির মামলার অন্যতম আসামি তুষার কাশিমপুর কারাগারে আটক রয়েছেন।
গত ৬ জানুয়ারি দুপুরে এক নারী কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় তুষারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তাদের যাওয়া আসার দৃশ্য প্রধান ফটকের ভেতরের সিটিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
চ্যানেল টোয়েন্টিফোর ওই ভিডিও নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে শুক্রবার তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তবে কারা কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলতে চাননি।
ভিডিওতে দেখা যায়, বেলা পৌনে ১টার দিকে কারাগারের প্রবেশ পথে কর্মকর্তাদের কার্যালয় এলাকায় কালো পোশাক পরা তুষার ঘোরাফেরা করছেন। কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি সালোয়ার-কামিজ পরা এক নারী সেখানে আসেন।
কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইন কারাগারে থাকার সময়ই এ ঘটনা ঘটে।
ভিডিওতে দেখা যায়, বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটে দুই ব্যক্তির সঙ্গে ওই নারী কারা কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় যান। সেখানে ডেপুটি জেলার সাকলায়েন ওই নারীর সঙ্গে কথা বলেন। এরপর কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান সাকলায়েন। কিছুক্ষণ পর কারাবন্দি তুষার আহমেদ আসেন সেখানে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম বলেন, ওই ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবুল কালামকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটিতে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা ও মো. ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী সদস্য হিসেবে আছেন।
“ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ওই ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।”
অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক মো. আবরার হোসেন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানালেও দর্শনার্থীদের সাক্ষাতে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কীভাবে এ ঘটনা ঘটল সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি।
তিনি বলেন, ২১ জানুয়ারি তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার সঙ্গে উপ-সচিব (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) মো. আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি (ময়মনসিংহ বিভাগ) মো. জাহাঙ্গীর কবির সদস্য হিসেবে আছেন।
“ঘটনা তদন্তকালে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে বিষয়টি জানানো হবে,” বলেন আবরার হোসেন।
কাশিমপুর কারাগার ১-এর সুপার রত্না রায়কে ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
জেলার নূর মোহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।