গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা
খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার রাতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল কালাম আজাদকে প্রধান
করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের টঙ্গী জোনের সহকারী কমিশনার
মো. আশরাফ উল ইসলাম ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এস এম আনোয়ারুল করিম।
তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্তের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান জেলা
প্রশাসক।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের শৌচাগার থেকে রিজ উদ্দিন
মোল্লার (১৭) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রিজ উদ্দিন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ
চব্বিশ পরগনার মগরাহাট থানার মর্যাদা এলাকার আব্দুল গাফ্ফারের ছেলে।
তদন্ত কমিটির প্রধান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, শুক্রবার বিকালে ঘটনা তদন্তে
ওই কমিটি টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে যান। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা এবং এর পেছনে
কী কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
টঙ্গী থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে রিজের বিরুদ্ধে
গত বছরের ৫ জুলাই কিশোরগঞ্জ থানায় মামলা হয়। পরে দি কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট-১৯৫২-এ
রিজকে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে হেফাজতে পাঠানো হয়। রিজ ওই কেন্দ্রের ৫ নম্বর কক্ষের
নিবাসী ছিলেন।
‘দি কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট-১৯৫২’-এর ৩ নম্বর ধারায় পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া
কোনো ভারতীয় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না; ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে- এই আইন লঙ্ঘনকারীর
অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক এক হাজার টাকা জরিমানা হবে; অথবা তাকে উভয় দণ্ড
ভোগ করতে হবে।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রিজ উন্নয়ন কেন্দ্রের শৌচাগারে
ঢুকে দরজা আটকে দেন। দীর্ঘক্ষণ পরও বের না হলে ২ নম্বর কক্ষের নিবাসী চিকু বিষয়টি অন্য
নিবাসীদের জানান। এরপর কাওসার নামের অপর এক নিবাসী শৌচাগারের উপরে উঠে ফাঁকাস্থান দিয়ে
রিজকে গামছায় বাঁধা ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কেন্দ্রের কম্পাউন্ডার মো. হেলাল তাকে উদ্ধার করে টঙ্গীর
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান বলে ওসি জানান।