রূপগঞ্জ থানার ওসি মহসিনুল
কাদির জানান, শুক্রবার রাতে পুর্বাচল উপশহরের ১১ সেক্টরের কুমারটেক এলাকায় এই ঘটনা
ঘটে।
নিহতরা হলেন পূর্বাচল এলাকার
মো. মাসুম মিয়া (৪০), তার প্রতিবন্ধী স্ত্রী সীমা বেগম (৩২), প্রতিবন্ধী দুই ছেলে মো.
রাসেল (১৭) ও ছোট ছেলে রহমত উল্লাহ্ (১০)।
পুর্বাচল ফায়ার সার্ভিস
স্টেশন অফিসার উদ্দীপন ভক্ত বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির
(ডেসকো) উচ্চ ভোল্টেজের তার ছিঁড়ে পল্লী বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে।
“এরপর পল্লী বিদ্যুতের
তার ছিঁড়ে মাসুম মিয়ার ঘরের টিনের চালের ওপর পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ঘরে আগুন ধরে যায়।”
উদ্দীপন ভক্ত বলেন, এই
সময় বসত ঘরে থাকা মাসুম মিয়া ও তার প্রতিবন্ধী দুই ছেলে আগুনে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই
নিহত হন। মাসুম মিয়ার প্রতিবন্ধী স্ত্রী সীমা বেগম দগ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হন। রূপগঞ্জ
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, মাসুমের বাড়ি
পুর্বাচল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছে হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে
পৌঁছে এবং আগুনে নিয়ন্ত্রণে আনে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি মহসিনুল
কাদির বলেন, বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে টিনের চালের ঘরে আগুনে লেগে একই পরিবারের চারজনের
মৃত্যু হয়েছে। নিহত মাসুম মিয়ার দুই ছেলে ও স্ত্রী প্রতিবন্ধী ছিলেন।
লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের
জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।