ক্যাটাগরি

অ্যান্ডারসনের ৬ উইকেট, ডিকভেলার আক্ষেপ

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ১ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়তে বসেছিল ইংল্যান্ড। তবে জো রুট ও জনি বেয়ারস্টোর দৃঢ়তায় সে ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে তারা।

গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৮১ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে।

রুট ৬৭ ও বেয়ারস্টো ২৪ রানে ব্যাটিং করছেন। সফরকারীরা এখনও পিছিয়ে ২৮৩ রানে।

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের পর সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন ডিকভেলা। কিন্তু তিনি আউট হন ৯২ রান করে।

প্রথম দিন ৩ উইকেট নেওয়া ৩৮ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন দ্বিতীয় দিনে নেন আরও তিনটি। টেস্ট ক্যারিয়ারে যা তার ৩০তম পাঁচ উইকেট। ছাড়িয়ে গেছেন ২৯ বার পাঁচ উইকেট নেওয়া অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি গ্লেন ম্যাকগ্রাকে। পেসারদের মধ্যে টেস্টে অ্যান্ডারসনের চেয়ে বেশিবার পাঁচ উইকেট আছে কেবল নিউ জিল্যান্ড কিংবদন্তি রিচার্ড হ্যাডলির, ৩৬বার।

৪ উইকেটে ২২৯ রান নিয়ে খেলতে নামা শ্রীলঙ্কা দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ম্যাথিউসকে হারায়। নিজের ষষ্ঠ বলেই তাকে কট বিহাইন্ড করে ফেরান অ্যান্ডারসন। ১১০ রান করা এই অলরাউন্ডারকে প্রথমে আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নিয়ে সফল হয় ইংল্যান্ড।

অভিষিক্ত রামেশ মেন্ডিসকে রানের খাতা খুলতে দেননি মার্ক উড। উইকেটের পেছনে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন জস বাটলার।

ডিকভেলা ও দিলরুয়ান পেরেরার ব্যাটে ধাক্কা সামাল দেয় শ্রীলঙ্কা। সপ্তম উইকেটে দুজনে গড়েন ৮৯ রানের জুটি। ৯৫ বলে ফিফটি করা ডিকভেলাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন অ্যান্ডারসন। ১০ চারে ৯২ রান করে তিনি ধরা পড়েন মিড-অফে জ্যাক লিচের হাতে। তাকে ফিরিয়েই ইংলিশ অভিজ্ঞ পেসার পূর্ণ করেন পাঁচ উইকেট। ওই ওভারেই পরে তিনি শূন্য রানে ফেরান সুরাঙ্গা লাকমলকে।

দিলরুয়ান পেরেরাকে দারুণ সঙ্গ দেন লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। ৩৩ বলে ৭ রান করে উডের বলে প্রথম স্লিপে ধরা পড়েন তিনি। ১৩৪ বলে ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্ট ফিফটি তুলে নেওয়া দিলরুয়ান পেরেরার সঙ্গে শেষ হয় স্বাগতিকদের ইনিংস। ৮ চার ও এক ছক্কায় ৬৭ রান করে তিনি স্যাম কারানের স্লোয়ারে ধরা পড়েন ডিপ স্কয়ার লেগে।

ইনিংসের শুরুতেই ৫ রানে ২ ওপেনারকে হারায় ইংল্যান্ড। শূন্য রানে ডম সিবলিকে এলবিডব্লিউ করার পরের ওভারে জ্যাক ক্রলিকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার এম্বুলদেনিয়া।

এরপর ৯৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন বেয়ারস্টো ও রুট। শুরু থেকেই শট খেলতে থাকা ইংলিশ অধিনায়ক ফিফটি তুলে নেন ৬৫ বলে। ১০ চারে ৬৭ রানে অপরাজিত আছেন তিনি।

এই ইনিংস খেলার পথে তিনি টপকে গেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক জিওফ বয়কটকে। টেস্টে দেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় ৮ হাজার ১১৯ রান নিয়ে ছয় নম্বরে উঠেছেন রুট। বয়কটের রান ৮ হাজার ১১৪।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৩৯.৩ ওভারে ৩৮১ (ম্যাথিউস ১১০, ডিকভেলা ৯২, মেন্ডিস ০, দিলরুয়ান পেরেরা ৬৭, লাকমল ০, এম্বুলদেনিয়া ৭, ফার্নান্দো ০*; অ্যান্ডারসন ২৯-১৩-৪০-৬, কারান ১৮.৩-৩-৬০-১, লিচ ৩৮-৫-১১৯-০, উড ২৮-৪-৮৪-৩, বেস ২৬-২-৭৬-০)।

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩০ ওভারে ৯৮/২ (ক্রলি ৫, সিবলি ০, বেয়ারস্টো ২৪*, রুট ৬৭*; লাকমল ৫-২-১০-০, এম্বুলদেনিয়া ১১-৪-৩৩-২, ফার্নান্দো ৫-২-১২-০, দিলরুয়ান পেরেরা ৭-১-২২-০, মেন্ডিস ২-০-১৯-০)।