স্বজনরা কান্নাকাটি করলেও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। তবে পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে।
স্বজনদের দাবি অনুযায়ী, নিখোঁজরা হলেন- জেলার শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কফিলউদ্দিনের ছেলে রতন (৪২), মনোর ছেলে মিজানুর রহমান (৪০) ও সাত্তার মিয়ার ছেলে আবু মুসা (৪১)।
শ্যামনগর থানার ওসি নাজমুল হুদা বলেন, প্রথমে বাঘের আক্রমণে নিহত হওয়ার খবর আসে। পরে আবার লাশ ভাসছে বলে খবর পায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশ কিছু নিশ্চিত হতে পারেনি। কারও পরিবারও থানায় অভিযোগ দেয়নি। তবু পুলিশ ঘটনা তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে। কেউ সাহায্য চাইলে তার জন্যও পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
মিজানুরের ছেলে শাহিনুর বলেন, পুলিশের মত তারাও নানা রকম কথা শুনছেন। তিনি তার বাবাকে ফেরত চান।
মুসার স্ত্রী রহিমা বিবিও তার স্বামীকে ফেরত চেয়েছেন। তিনিও বলতে পারেননি কী হয়েছে তার স্বামীর।
রতনের বাবা কফিল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, তার ছেলে সুন্দরবনে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন।
তবে তারা কেউ থানায় অভিযোগ দিচ্ছেন না কেন এই প্রশ্নের উত্তর দেননি।
এদিকে মাদক কারবার নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে তারা নিখোঁজ হতে পারেন বলে দাবি করেছেন কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম।
তিনি বলেন, এলাকাবর মাদক কারবারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব রহস্য বেরিয়ে যাবে।
পশ্চিম সুন্দরবনের (সাতক্ষীরা) সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান বাঘে খাওয়ার দাবি নাকচ করেছেন।
তিনি বলেন, “বাঘের আক্রমণে নিহত হলে নমুনা থাকে। বাঘ খেয়েছে এর ন্যূনতম সতত্যা পাওয়া যায়নি।”
বিজিবি সদস্যরা দুই জেলে বাঘের আক্রমণে নিহত হওয়ার খবর পেয়েছেন। কিন্তু তারা নিশ্চিত হতে পারেননি।
বিজিবির ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইয়াসিন চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনের ভারতের অংশে বাংলাদেশি দুই জেলে বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছেন কিনা তা জানতে চেয়েছে কেউ কেউ। কিন্তু বিজিবি কাউকে নিশ্চিত করেনি। তারা যথাযথ নিয়মে খোঁজ নিয়েছেন। কেউ এমন খবর নিশ্চিত করেনি। লাশ দেখেছে এমন খবরও কেউ নিশ্চিত করেনি।