গত অগাস্টে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত
‘মহামারীতে চাকরি হারিয়ে তারা এখন উদ্যোক্তা’
শিরোনামের প্রতিবেদনের
জন্য এই সম্মাননা পাচ্ছেন তিনি।
মানুষের
জীবন ও জীবিকা এবং ব্যবসার ওপর মহামারীর প্রভাব- এই দুই ক্যাটাগরিতে গত ১ মার্চ থেকে
৩১ অগাস্টের মধ্যে প্রকাশিত প্রতিবেদনের জন্য এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে আমেরিকান চেম্বার
অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচ্যাম)।
এর মধ্যে
সেরা প্রতিবেদনগুলোর জন্য অনলাইন গণমাধ্যম, জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন ও সংবাদ সংস্থার
চূড়ান্ত বিজয়ীদের নাম রোববার বিকালে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয়।
ডেইলি
স্টারের রেফায়েত উল্লাহ মৃধা, প্রথম আলোর সুজয় মহাজন, সমকালের রাজবংশী রায়, এটিএন বাংলার
শরফুল আলম, চ্যানেল আইয়ের লুৎফর রহমান সোহাগ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মাজহারুল আনোয়ার
খান, বাংলা ট্রিবিউনের সাদ্দিফ অভিসহ ৩২ জন সংবাদিক এই পুরস্কার পাচ্ছেন। সার্টিফিকেট
ও ক্রেস্টের পাশাপাশি আর্থিক সম্মাননাও পাবেন তারা।
মহামারীর
কঠিন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করা সম্মুখসারির সাংবাদিকদের ভূমিকার স্বীকৃতি
ও সম্মাননা দিতে অ্যামচ্যামের এই উদ্যোগে সহযোগী হয়েছে মাস্টহেড পিআর।
মহামারীর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব
পালন করায় সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন অনুষ্ঠানে
বলেন, “সাংবাদিকরা ঝুঁকির মধ্যে দমে না গিয়ে গুজব এবং আতঙ্ক যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য
সচেতনতা বৃদ্ধি করেছেন। পাশাপাশি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে
সরকারকে নানাভাবে সহায়তা করছেন।”
মহামারীতে প্রাণ হারানো সাংবাদিকদের
প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, “সাংবাদিকরা
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ প্রশংসনীয়।”
অ্যামচ্যামের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, মাস্টহেড
পিআরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউদ্দিন আদিল বক্তব্য দেন।