বাকি ছয়জন হলেন- ঢাকা
উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৌশলী
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল
ইসলাম, ডেপুটি কমিশনার মাহবুব উদ্দিন এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর
আব্দুর রউফ নান্নু।
রোববার সুপ্রিম কোর্টের
সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করা হলেও সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী সগির হোসেন
লিয়ন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, মিরপুরে বিহারি ক্যাম্প থেকে অবাঙালি উর্দুভাষী জনগণের উচ্ছেদ চ্যালেঞ্জ
করে ২০১৮ সালে একটি রিট আবেদন করা হয়েছিল।
রিটটি খারিজ হলে এর
বিরুদ্ধে প্রথমে চেম্বার আদালতে ও পরে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করলে সর্বোচ্চ আদালত
স্থিতাবস্থা জারি করে।
“এই স্থিতাবস্থা চলতি
বছরের ২ মে পর্যন্ত বহাল আছে। এর মধ্যে গত ২১ ও ২২ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে প্রায় তিনশ
ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ দেখানোর পরও উচ্ছেদ কাজ বন্ধ করেনি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সে খবর প্রচার-প্রকাশ করেছে।”
এ ঘটনায় ঢাকা উত্তর
সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার
পাশাপাশি আবেদনে তাদের ব্যক্তিগত হাজিরাও চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগের
চেম্বার আদালতে আবেদনটি উপস্থাপন করা হতে পারে বলে আশা করছেন এই আইনজীবী।
গত বছর ২৯ অক্টোবর
আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের জারি করা স্থিতাবস্থা আদেশ অমান্য করায় কেন তাদের বিরুদ্ধে
আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, সে কারণ দর্শানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
উর্দুভাষী যুব-ছাত্র
আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, সহ-সভাপতি মো. জীবন ও নাদের ইসলাম আবেদনটি করেন।