ক্যাটাগরি

এইচএসসি ও সমমানের ফল: বিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি

সোমবার
‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১’ ‘বাংলাদেশ কারিগরি
শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’, ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’এ
রাষ্ট্রপতি সম্মতি দেন বলে সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে।

রোববার
সংসদে পাস হয় এই তিনটি বিল। বিল পাসের সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন, দুই
দিনের মধ্যে এর গেজেট হবে।

নিয়ম
অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর এবার সংসদে পাস হওয়া বিলগুলো আইন হিসেবে গেজেট করবে
সরকার।

আর
গেজেট প্রকাশ হলেই ফল ঘোষণার তারিখ চূড়ান্ত হবে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল
ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

১১টি
শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা
দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে।

কিন্তু
করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
করে দেওয়া হয়। মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পরীক্ষা নেওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায়
গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মত এইচএসসি
পরীক্ষাও নেওয়া যাচ্ছে না।

সেদিন
তিনি জানান, অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণ
করা হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ
মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে।

কিন্তু
আইনে পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশের বিধান থাকায় গতবছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আর ফল প্রকাশ
করা সম্ভব হয়নি।

মাধ্যমিক
ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নতুন বছরের শুরুতেই ফল
প্রকাশের প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু সংসদ অধিবেশন বসার সময় হয়ে যাওয়ায় অধ্যাদেশের ঝামেলায়
না গিয়ে একেবারে সংসদে বিল পাস করার পক্ষে মত দেয় মন্ত্রিসভা। গত ১১ জানুয়ারি ওই আইন
তিনটি সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়।

গত
১৯ জানুয়ারি সংসদে বিল তিনটি তোলার পর পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা
মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর
রোববার বিল তিনটি সংসদে পাস হয়।

বিলে
বিশেষ পরিস্থিতে অতিমারী, মহামারী, দৈব দুর্বিপাকের কারণে বা সরকার কর্তৃকসময় সময় নির্ধারিত
কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোনো পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ করা সম্ভব না হলে
সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা কোনো বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা
ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে
মূল্যায়ন এবং সনদ প্রদানের জন্য নির্দেশাবলি জারি করার বিষয় উল্লেখ রয়েছে।