ভারপ্রাপ্ত
দায়িত্বে তিন ওয়ানডের সবকটিতে হারের দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে শুরু হয়েছিল এই সিরিজে
অধিনায়ক তামিমের যাত্রা। নিয়মিত দায়িত্বে প্রথম সিরিজ শেষে অধিনায়ক তামিমের পাশে
যোগ হয়েছে তিন জয়। প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করে শুরু হয়েছে তার ক্যারিয়ারের নতুন
পথচলা।
একগাদা
শীর্ষ ক্রিকেটারকে ছাড়া খেলতে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এমন পারফরম্যান্স প্রত্যাশিতই
ছিল। তবে প্রতিপক্ষ তুলনামূলক সহজ হলেও প্রতি ম্যাচে নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়া সহজ ছিল
না। কিন্তু তামিমের দল সেটি পেরেছে ভালোভাবেই। প্রতি ম্যাচেই আগের চেয়ে উন্নতি
করেছে বাংলাদেশ। সিরিজ শেষে এটিই তৃপ্তি দিচ্ছে অধিনায়ককে।
“যেভাবে
আমরা ক্রিকেট খেলেছি, খুব ভালো ছিল। সত্যি কথা বলতে, মূল যে বিষয়টি আমি লক্ষ্য করেছি, ভালো করার যে
ক্ষুধা, ড্রেসিং রুমে তা ছিল তিন ম্যাচেই। এমন হয়নি যে গত
দুই ম্যাচ জিতে যাওয়ার পরে আজ দলের কেউ তেমন রিল্যাক্সড ছিল।”
“আমরা
জানতাম যে এখন পয়েন্ট সিস্টেম (আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগ)। আমাদের
কোয়ালিফাইং খেলতে হবে কী হবে না, এটা নিয়ে একটা ইস্যু থাকবে।
তাই প্রতিটা ম্যাচই খুব গুরুত্বপূর্ণ। সব ওয়ানডে ম্যাচই খুব গুরুত্বপূর্ণ। দলের যে
ক্ষুধা ছিল, আমি খুব খুশি।”
অধিনায়কত্ব
তামিমের নিজের ব্যাটিংয়ে কতটা প্রভাব ফেলে, সেটিও দেখার ছিল এই সিরিজে। প্রথম
পরীক্ষায় তিনি উতরে গেছেন। দুই দল মিলিয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ ১৫৮ রান এসেছে বাংলাদেশ
অধিনায়কের ব্যাট থেকেই।
তবে এই
সাফল্যের পাশাপাশি প্রশ্নও থাকছে তার ব্যাটিং নিয়ে। প্রথম দুই ম্যাচে ছোট রান
তাড়ায় ৪৪ ও ৫০ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। শেষ ওয়ানডেতে দারুণ খেলছিলেন, কিন্তু এবারও
ইনিংস বড় করতে পারেননি। বিদায় নেন ৬৪ রানে।
তামিমের
নিজেরও আক্ষেপ আছে শুরুগুলোকে কাজে লাগাতে না পারা নিয়ে।
“প্রথম
দুই ম্যাচে আমার সুযোগ ছিল অপরাজিত থাকার। আজকে সুযোগ ছিল বড় ইনিংস খেলার। অবশ্যই
হতাশা আছে। একদিক থেকে এটা ভালো যে লম্বা বিরতির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসে আমি
রান পাচ্ছি। তাই এটা ঠিক আছে। কিন্তু আরও অনেক ভালো হতে পারত।”