লাল বলের ক্রিকেটে দুই দলের সবশেষ সিরিজে রাজত্ব করেছিল বাংলাদেশের স্পিন চতুষ্টয়। দুই ম্যাচের সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল স্বাগতিকরা। রোচ মনে করছেন, পেস দিয়েও এর জবাব দেওয়া সম্ভব।
“পেসারদের এখানে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। গতি কিংবা সিম মুভমেন্টের জন্য সহায়ক হবে না পিচ। ঠিক জায়গায় ধারাবাহিকভাবে বল করে যেতে হবে। ব্যাটসম্যানকে সামনের পায়ে চ্যালেঞ্জ জানাতে হবে। বাংলাদেশে সাফল্য পাওয়ার এটাই সবচেয়ে ভালো পথ। নিজেকে উজাড় করে দিয়ে বোলিং করতে হবে। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারকে ভোগাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিভার্স সুইং করানোর চেষ্টা করতে হবে।”
“আমাদের পরিকল্পনা করাই আছে। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের আমরা চিনি। কয়েক বছর ধরে ওদের দলটা প্রায় একই আছে। ওদের মূল ব্যাটসম্যানরাই কাজটা করে। ওদের খুব ভালো করে জানি আমরা। টিম মিটিংয়ে আমরা যে পরিকল্পনা ঠিক করব সেটার বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ।”
সদ্য সমাপ্ত তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখানে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের স্পিনে ভুগেছে সফরকারীরা।
এই সিরিজের ফল নিয়ে অবশ্য খুব একটা ভাবছেন না রোচ। সেখানে ছিল নতুন মুখের ছড়াছড়ি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পূর্ণ শক্তির দলের অনেক সদস্যই আছেন টেস্ট দলে। ওয়ানডে দলের সঙ্গেই বাংলাদেশে আসেন সবাই। তিন দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর থেকে কঠোর অনুশীলন করে চলেছেন তারা।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের বিপক্ষে অনেক ম্যাচ খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই তারা জানে, সামনে ঠিক কী অপেক্ষা করছে। রোচ জানালেন, সে সব ব্যাপার মাথায় রেখেই অনুশীলন করছে সবাই। বিশেষ করে, স্পিন সামলাতে ব্যাটসম্যানরা যেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাতে মুগ্ধ এই পেসার।
কেমার রোচ
“ব্যাটসম্যানরা স্পিন সামলানো নিয়ে অনেক কাজ করছে। কীভাবে এই ক্ষেত্রে উন্নতি করা যায় এ নিয়ে প্রশ্ন করছে, পরামর্শ শুনছে। যা দেখছি, তাতে আমি খুব খুশি। আমি নিশ্চিত, ওরা ভালো করবে। স্পিন ভালো খেলার জন্য ওরা অবশ্যই বাড়তি পরিশ্রম করছে। পায়ের ব্যবহার ও সুইপ নিয়ে প্রচুর কাজ করছে। এখানে আসার পর থেকে যেভাবে কাজ করছে তাতে আমি উন্নতির ছাপ দেখেছি।”
“টেস্ট দলের অনেকেই আগে এখানে খেলেছে। আমরা জানি, এখানে ঠিক কি হতে পারি। এই সিরিজে ওদের কাছ থেকে আরও ভালো পারফরম্যান্স আশা করছি। আরও জোর লড়াই ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে কিছু ম্যাচ জেতার আশা করছি।”
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে রেকর্ড ভালো নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তারওপর দলে নেই নিয়মিত অনেক খেলোয়াড়। সব মিলিয়ে একটু পিছিয়ে থেকেই টেস্ট সিরিজ শুরু করবে সফরকারীরা। তবে রোচ সতীর্থদের দিলেন লড়াইয়ের তাগিদ। মাঠে দেখাতে বললেন নিজেদের সামর্থ্য।
“আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে এবং যতটা ভালোভাবে সম্ভব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। বাংলাদেশ সফর সবসময়ই কঠিন। ছেলেরা তিন সপ্তাহ ধরে কঠোর পরিশ্রম করছে। একটা ভালো সংগ্রহ গড়তে এবং ম্যাচে ২০ উইকেট নিতে কি করতে হবে, আমরা জানি।”
“উইকেটে মূলত স্পিনারদের জন্য সহায়তা থাকবে। তবে আমার মনে হয় পেসারদের জন্যও যথেষ্ট সহায়তা সেখানে থাকবে। আমাদের সুশৃঙ্খল হতে হবে। আমরা জানি, সাফল্য পেতে আমাদের অনেক বেশি ওভার বোলিং করতে হবে। এর জন্য আমরা তৈরি। কঠিন হবে, কিন্তু আমি লড়াইয়ের জন্য তৈরি।”