রোববার বিকালে মুন্ডমালা পৌর নির্বাচন উপলক্ষে দুবইল
স্কুল মাঠে পাঁচন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক সভায় এই আহ্বান জানান রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর)
আসনের এই সংসদ সদস্য।
ওমর ফারুক চৌধুরীর এই বক্তব্যের একটি
ভিডিও পরদিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “২০০৮ সালে বলেছিলাম-একশ,
দেড়শ, দু’শ করে লাঠি কেটে রাখবেন। বলেছিলাম না? ২০০৮ সালের কথা এটা। ওই ফর্মুলা এবার
মুন্ডমালা পৌরসভা নির্বাচনে নিয়ে নিতে হবে। লাঠি কেটে রাখতে হবে। যদি ভোটের দিন ব্যবহার
করার দরকার পড়ে, তাহলে ব্যবহার করবেন। নাহলে ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর ওই লাঠিখেলা হবে।”
আগামী ৩০ জানুয়ারি মুন্ডমালা পৌরসভার নির্বাচন। এখানে
মেয়র পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন-আওয়ামী লীগের মনোনীত আমির হোসেন আমিন, স্বতন্ত্র
হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান ও বিএনপি মনোনীত ফিরোজ কবীর।
কেউ গরম চোখে তাকালে তিনি নেতাকর্মীদের তার নাম লিখে
রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ভোটের পর তার চোখের ব্যবস্থা করে দিব।”
এই সময় সাংসদ ফারুক চৌধুরী বিএনপি নেতাকর্মীদেরও
সমালোচনা করেন। দলের ভেতরে কেউ বিএনপির হয়ে কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নেওয়ারও আহ্বান জানান।
ফারুক চৌধুরী মুন্ডমালা পৌরসভায় দলের বিদ্রোহী প্রার্থী
এবং তাকে সমর্থনকারীদেরও সমালোচনা করেন।