যুক্তরাষ্ট্রে জো বাইডেনের অভিষেকের পরই ‘সমুদ্রে অবাধ বিচরণ’ নিশ্চিত করতে শনিবার মার্কিন সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমানবাহী ইউএসএস থিওডর রুজভেল্ট রণতরীসহ তিনটি যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করে।
চীন এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশের পরই মঙ্গলবার দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহাড়ার ঘোষণা দিল।
চীনের মেরিটাইম সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গাল্ফ অব টনকিন থেকে পশ্চিমের লাইজহু উপদ্বীপের জলসীমার একটি অংশে ২৭ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রবেশ নিষিদ্ধ করে নোটিশ জারি করেছে।
তবে মহড়া কখন শুরু হবে এবং তা কতটা ব্যাপক মাত্রার হবে সে বিষয়ে চীন বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটি চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনাকর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে আরেক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সম্প্রতি কয়েকবছরে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ধীরে ধীরে তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে।
চীন দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ এলাকাই নিজের বলে দাবি করে আসছে। তবে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ব্রুনাইসহ তাইওয়ানেরও এ সাগরের ওপর দাবি আছে।
বিরোধপূর্ণ এ সাগরাঞ্চলে মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ করা নিয়ে চীন বরাবরই অভিযোগ করে আসছে। এবার চীনা বিমানের তাইওয়ানি আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী শনিবার দক্ষিণ চীন সাগরে যায়।
এর পরপরই চীন সোমবার বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছিল, “যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই তাদের শক্তি জানান দিতে দক্ষিণ চীন সাগরে বিমান এবং যুদ্ধজাহাজ পাঠায়। ওই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এটি মোটেই উপযোগী নয়।”