ক্যাটাগরি

শীর্ষ পাঁচ চিন্তাও করতে পারেননি মিরাজ

মিরাজের আগের সেরা ছিল ১১তম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে ছিলেন ১৩ নম্বরে। এই সিরিজে স্পিন সহায়ক উইকেট পেয়ে দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে তিন
ম্যাচে ৭ উইকেট নেন ওভারপ্রতি মাত্র ২.৭০ রান দিয়ে। এতেই র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে যান এক লাফে ৯ ধাপ।

আগে কখনও সেরা দশের স্বাদ না পেয়ে একবারেই সেরা পাঁচে জায়গা পেয়ে মিরাজ নিজেও চমকে গেছেন বলে জানালেন।

“খুব ভালো লাগছে। আমি আসলে চিন্তাও করতে পারিনি যে শীর্ষ পাঁচের ভেতর থাকব। আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালো লাগছে যখন শুনতে পেরেছি। আর দলের সবাই যখন উইশ করছে, খুব ভালো লাগছে।”

বয়সভিত্তিক ক্রিকেট রাঙিয়ে, বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক আশা ও আলোচনার জন্ম দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও মিরাজের শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। তবে সেটা টেস্ট ক্রিকেটে। ২০১৬ সালে তার নেতৃত্বে দেশের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তৃতীয় হয় বাংলাদেশ, তখনও পর্যন্ত যা ছিল যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। ওই বছর দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়ে যান টেস্ট ক্যাপ। টার্নিং উইকেটে ইংলিশদের নাস্তানাবুদ করে অভিষেক টেস্টে নেন ৭ উইকেট, দ্বিতীয় টেস্টে ১২টি!

তবে শুধু লাল বলের জগতে নিজের বিচরণ সীমাবদ্ধ রাখতে চাননি মিরাজ। দ্রুতই নিজেকে তৈরি করেছেন সাদা বলের চ্যালেঞ্জের জন্য। জানালেন, সেটিরই সুফল মিলছে।

“আমি যখন টেস্ট ক্রিকেট শুরু করেছি, আমার ভাবনা ছিল যে শুধু লাল বলে নয়, সাদা বলেও খেলব। ওইভাবে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। চেষ্টা করেছি যে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে হলে আমাকে কোথায় ভালো করতে হবে এবং কোন কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে।”

“আমি চিন্তা করে দেখেছি যে ওয়ানডে খেলতে হলে আমাকে বোলিং ইকোনমি রেট ঠিক রাখতে হবে এবং ব্রেক থ্রু দিতে হবে দলের প্রয়োজনে। এখনও ওটাই চেষ্টা করে যাচ্ছি। দলের জন্য ইকোনমি ঠিক রাখা, প্রয়োজনে উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করি।”

ওয়ানডেতে বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে শীর্ষে উঠতে পেরেছিলেন কেবল সাকিব আল হাসান। ২০০৯ সালের নভেম্বরে উঠেছিলেন তিনি এক নম্বরে। এরপর আরেক বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক উঠতে পেরেছিলেন দুই নম্বর পর্যন্ত। মিরাজ এখন লক্ষ্য স্থির করতে পারেন এই দুজনের উচ্চতায় নিজেকে তুলে নিতে।