বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশির সঙ্গে বৈঠকে পণ্য পরিবহনে ঢাকা-করাচি সরাসরি যোগাযোগ চালুরও অনুরোধ করেন
তিনি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
হাই কমিশনার ইমরান
বলেন, “পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন করে সামনে এগিয়ে
যেতে চায়। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
উভয় দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী
পাকিস্তান।”
বাংলাদেশের তৈরি সিরামিক
পণ্য পাকিস্তানের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি
বলেন, তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে
পাকিস্তানে।
তিনি পাকিস্তানে বাংলাদেশি
পণ্যের ‘সিঙ্গেল কান্ট্রি ফেয়ার’ করার আহ্বান জানান।
২০১৯-২০২০ অর্থবছরে
বাংলাদেশ পাকিস্তানে ৫০ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে
আমদানি করেছে ৫৪৩ দশমিক ৯০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,
বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে চা, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, তৈরি পোশাক, সিরামিক পণ্য, স্যু,
চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়। এ রপ্তানি আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে।
পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যে
কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, “সেগুলো দূর করা গেলে
বাণিজ্য আরও বাড়বে। উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করার বিপুল সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে।
“অতি সম্প্রতি হাইড্রোজেন
পারঅক্সাইড রপ্তানির ক্ষেত্রে পাকিস্তান এন্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে। এ ধরনের পদক্ষেপ
বাণিজ্য বিকাশে বাধা। উভয় দেশের মধ্যে গঠিত জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনের (জেইসি) সভায় সমস্যাগুলো
চিহ্নিত করে সমাধান করা সম্ভব।”