মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার টিটব সিকদার জানান, উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাগাট খেলার মাঠ সংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
ওই বাসের যাত্রী আরশাদ হোসেন বলেন, উপজেলার কোড়কদি ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রাম থেকে তারা সুন্দরবনে পিকনিকের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আলিফ মিম যাত্রীবাহী বাসে করে রওনা হন। পথে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে উঠতেই বাসটির পেছন দিকে আগুন জ্বলে ওঠে।
“আগুন ধরা মাত্রই বাস থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন পুরো বাসটিতে ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় স্থানীয়রা মধুখালী ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু এরই মধ্যে বাসের অধিকাংশ পুড়ে যায়।”
যাত্রীদের সময়মত নামিয়ে দেওয়ার কারণে প্রায় অর্ধ শতাধিক যাত্রী প্রাণে রক্ষা পান বলে জানান আরশাদ।
ফায়ার সার্ভিস বর্মকর্তা টিটব বলেন, ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই বাসটির অনেক অংশ পুড়ে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
তিনি বলেন, “বাসের মধ্যে জেনারেটর দিয়ে সাউন্ড বক্স বাজানো হচ্ছিল। ওই জেনারেটর থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া গাড়িটির নতুন বডি ও রং করার ফলে আগুন দ্রত ছড়িয়ে পড়ে।”
এ বিষয়ে মধুখালী থানার এস আই তাহসিন বলেন, মহাসড়কে বাসে অগ্নিকাণ্ডের পর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুইপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।