আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ
পরিদপ্তর-আইএসপিআর শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বুধবার শান্তিরক্ষীরা
অভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনার সময় সশস্ত্র বিদ্রোহীরা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর
বোমার বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের মাধ্যমে সংঘবদ্ধ আক্রমণ চালায়। হামলায় তিনজন আহত ছাড়াও
সাঁজোয়া বহর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আহতরা হলেন- ল্যান্স
কর্পোরাল আলিমুজ্জামান, সৈনিক মোস্তাফিজুর রহমান ও সৈনিক সাইদুল আলম।
তারা ‘সুস্থ’ আছেন
জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশি এই শান্তিরক্ষীরা সেনেগালের ডাকার শহরে
অবস্থিত জাতিসংঘের লেভেল-৩ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে,
হামলার পর বাংলাদেশি ‘দুঃসাহসী’ শান্তিরক্ষীরা পাল্টা আক্রমণ করে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত
এবং পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের এই বীরত্বপূর্ণ ও দুঃসাহসিক
অভিযান মিশন সদর দপ্তরসহ সর্বমহলে ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে।
মালিতে অবস্থিত বাংলাদেশের
অন্যান্য শান্তিরক্ষীরা নিরাপদে আছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আহতদের বিষয়ে সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার পরপরই তাদের হেলিকপ্টার করে মপতি এলাকায় ইউএন’র লেবেল-২
হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাকার শহরে নেওয়া হয়।
২০১৩ সালে মালির উত্তরাঞ্চলের
বিভিন্ন শহর থেকে বিদ্রোহী জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তুয়ারেগদের হটিয়ে দেয় ফরাসি বাহিনী।
এরপর ওই বছরই দেশটিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হয়।
জাতিসংঘের এই মিশন
‘মিনুসমা’ নামে পরিচিত। এটাই জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ
হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।