ক্যাটাগরি

রেকর্ড গড়ার লক্ষ্য নিয়ে বগুড়ায় ‘শস্য চিত্রে বঙ্গবন্ধু’

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার নামের একটি বেসরকারি
প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়ে ‘শস্য চিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’ দুই
মাস আগে ১০৫ বিঘা জমিতে এই কাজের প্রস্তুতি শুরু করে। 

পরিষদের আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন
নাছিম শুক্রবার জেলার শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামে এ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
করেন।

এ শস্য চিত্রের আয়তন হবে ১ লাখ ২০ হাজার বর্গমিটার। সব শর্ত মেনে
কাজটি শেষ করা সম্ভব হলে তা হবে গিনেস বুকের ‘লার্জেস্ট ক্রপ ফিল্ড মোজাইক (ইমেজ)’
শাখার নতুন রেকর্ড। 

বর্তমানে ওই রেকর্ড চীনের দখলে। ১৯১৯ সালে ৭৯ হাজার ৫০৫.১৯ বর্গমিটার
আয়তনের জমিতে চার রঙের ধানের চারায় কাউ ফিশের ছবি ফুটিয়ে তুলে সাংহাইয়ের লেজিদাও
টুরিজম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিডেট ওই রেকর্ড গড়ে। 

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, “চীনের ওই শস্য চিত্র ছিল ৭৫ বিঘা জমির ওপর।
আমরা সেই রেকর্ড ভাঙতে চাই।”

সেজন্য গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কথা জানিয়ে তিনি
বলেন, “আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ‘শস্য চিত্রে জাতির জনক
বঙ্গবন্ধু’র ভিডিওসহ প্রয়োজনীয় দলিলপত্র পাঠানো হবে। আশা করছি ১৭ মার্চ জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিনে আমরা নুতন এ বিশ্ব রেকর্ড অর্জন এবং উদযাপন
করতে পারব।”

ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার লিমিটেডের প্রধান প্রকল্প পরিচালক আশেক এ এলাহী
অনি বলেন, বিএনসিসির ১০০ জন সদস্য এবং ৫০ জন শ্রমিক-কর্মচারী গত তিন দিন আগে কাজ
শুরু করেছেন। আরও প্রায় এক সপ্তাহ বিরতিহীন কাজ চলবে। খরচ হবে প্রায় দেড় কোটি
টাকা।

“চীন থেকে বেগুনি ধান এবং দেশীয় সবুজ জনকরাজ
ধানের চারা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর অবয়ব দৃশ্যমান করা হবে। ধান পাকার পর গোঁফ, চোখ, চুল, ভ্রু খয়েরি আর অন্য অংশ সোনালি রঙের হবে। ওপর
থেকে মাঠের মধ্যে স্পষ্ট প্রতিকৃতি দেখা যাবে। আগামী ছয় সপ্তাহে অনেকটা দৃশ্যমান
হবে।”

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, বগুড়ার ডিসি
মো. জিয়াউল হক, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সমীর চন্দ্র, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি
মজিবর রহমান মজনু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।