উদ্ধার
করা লাশটি আনোয়ার হোসেনের (৪৫)। তার বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার দরবেশ হাট এলাকায়। তিনি
উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানায়।
দরবেশ
হাট এলাকা থেকে শুক্রবার গভীর রাতে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক
(তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি
বলেন, এ ঘটনায় আনসার উল্লাহ (২১) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক এবং ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে
গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত
২৯ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে নিজের গরুর খামারে গিয়ে আর ফেরেননি আনোয়ার। এ ঘটনায় পরদিন থানায়
একটি সাধারণ ডায়েরি এবং পরবর্তীতে মামলা করে আনোয়ারের পরিবার।
পুলিশ
কর্মকর্তা রাশেদ বলেন, মামলার সূত্রধরে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে শুক্রবার ভোরে
আনসার উল্লাহকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গভীর রাতে আনোয়ারের
গরুর খামারের পাশে মাটি খুঁড়ে তার গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি
বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আনসার উল্লাহ জানিয়েছে, সে আনোয়ারের গরুর খামারে কাজ
করত। বেতন নিয়ে আনোয়ারের সাথে তার বাক-বিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে সে আনোয়ারকে খুন করে
খামারের পাশে লাশ মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।”
আনোয়ারকে
ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা রাশেদ বলেন, ওই ছুরি সরবরাহকারী
এক কিশোরকেও লোহাগাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।