‘রাউটলেজ হ্যান্ডবুক
অব ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে বইটি প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক
খ্যাতনামা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান রাউটলেজ।
শনিবার এক ভার্চুয়াল
অনুষ্ঠানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেছে লেখক ও সম্পাদনা পর্ষদ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়,
বইয়ে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইংল্যান্ড, সুইডেন ও অস্ট্রিয়াসহ দেশ-বিদেশের
৩৩ জন অভিজ্ঞ ও তরুণ ইংরেজি ভাষা শিক্ষক-গবেষকের লেখা ২৫টি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের (আইএমএল) অধ্যাপক শায়লা সুলতানা, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের
সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মাদ মুনিনুর রশীদ,
আইএমএলের সহকারী অধ্যাপক
মিয়া মো. নওশাদ কবির, ইউল্যাবের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদ হাসান খান বইটি সম্পাদনা করেছেন।
বইয়ের মুখবন্ধ লিখেছেন
সিডনির ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র ইমেরিটাস অধ্যাপক অ্যালাস্টার পেনিকুক।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে
যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ইংরেজি ভাষা পাঠদান ও শিক্ষার উপর এটি একটি অসাধারণ
কাজ। বইটির মান কেমন হবে, তার প্রকাশনীর দিকে তাকালেই বুঝা যায়। যুক্তরাজ্যে রাউটলেজ
এটি প্রকাশ করেছে। এই অসম বিশ্বে পাশ্চাত্যের একটি নামি প্রকাশকের দ্বারা বাংলাদেশভিত্তিক
একটি পূর্ণাঙ্গ হ্যান্ডবুক প্রকাশ করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। আমি মনে করি, এই বই বাংলাদেশে
ইংরেজি ভাষা শেখার ক্ষেত্রে বিশ্ব মানের উন্নয়ন ও অনুশীলনে বড় নির্দেশিকা হিসেবে পাথেয়
হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
ইংরেজির প্রাক্তন অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “বইটি কেবলমাত্র ইএলটির ক্রিটিক্যাল
পার্সপেক্টিভ, ঔপনিবেশিক এবং উত্তর ঔপনিবেশিক ইতিহাস, মতাদর্শ ও মূল্যবোধের দৃষ্টিভঙ্গির
প্রকাশ নয়। এটি বাংলাদেশে ইংরেজি ভাষা নীতি এবং ইএলটি পদ্ধতি দ্রুত বিকাশের ক্ষেত্রে
পাথেয় হিসেবে কাজ করবে।
“ভাষাবিজ্ঞানের শিক্ষক
না হলেও গত পাঁচ দশকে ইংরেজি সাহিত্যের একজন শিক্ষক হিসেবে বলতে পারি, বাংলাদেশে ইংরেজি
ভাষা পাঠদান ও শিক্ষার উপর এটি একটি বড় কাজ। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় নীতিনির্ধারকসহ
গবেষকদের জন্য এই বই ইংরেজি ভাষা শিক্ষা পদ্ধতির উন্নয়নে পাথেয় হিসেবে কাজ করবে।”
বইয়ের প্রধান সম্পাদক
অধ্যাপক শায়লা সুলতানা বলেন, “২০২১ সালে যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব
শতবর্ষ পালন করছি, তখন দেশের ইংরেজি শিক্ষা নিয়ে এই ধরনের গবেষণা কর্ম সত্যিই একটি
বড় মাইলফলক। বাংলাদেশের ইংরেজি ভাষা শিক্ষা ও পাঠদান নিয়ে এই প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক
প্রকাশনী গবেষণামূলক বই প্রকাশ করেছে। আমাদের দেশে এই ধরনের গবেষণার ক্ষেত্রে এটিকে
বলা যায়, গ্রাউন্ড ব্রেকিং রিসার্চ ওয়ার্ক। বইটি ভবিষ্যতের শিক্ষা ও গবেষণায় অবদান
রাখবে।”
অধ্যাপক মোহাম্মাদ
মুনিনুর রশীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন
অধ্যাপক আরিফা রহমান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এ এম এম হামিদুর
রহমান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শামসাদ মর্তুজা,
অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড. রাকিব চৌধুরী এবং অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড. এম ওবায়দুল হামিদ বক্তব্য দেন।