ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে কদিন আগে ওয়ানডের আঙিনায় পা রাখেন হাসান। আবির্ভাব রাঙান বর্ণিল পারফরম্যান্সে। প্রথম ম্যাচেই তার শিকার ৩ উইকেট। পরের ম্যাচেও উইকেট নেন ১টি।
২১ বছর বয়সী এই পেসারের জায়গা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলেও। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৪ ম্যাচ খেলা এই পেসার হয়তো এই সিরিজেই টেস্ট ক্যাপ পাবেন না। তবে ভবিষ্যতে তার কাছ থেকে সব সংস্করণেই দারুণ কিছু পাওয়া যাবে, রোববার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আশার কথা শোনালেন হাবিবুল।
“খুব বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ এই ছেলেটা খেলেনি, কিন্তু পরিণত হয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে। আমাদের জন্য খুব ভালো একটা প্রতিভা। আমরা মনে করি, হাসান মাহমুদের কাছ থেকে অনেক ভালো কিছু আশা করতে পারি। বিশেষ করে আমরা যখন দেশের বাইরে খেলতে যাই, এ ধরনের পেসার আমাদের খুব দরকার, যাদের বলে বাড়তি পেস থাকে।”
“খুব ভালো ভবিষ্যৎ আছে ওর। আমি মনে করি, বাংলাদেশ ক্রিকেট তার কাছ থেকে সাদা ও লাল বল, দুই দিক থেকেই ভালো সার্ভিস পাবে।”
বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডে হাসান ছাড়াও অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা ক্রিকেটার আছেন আরেকজন, ইয়াসির আলি চৌধুরি। হাবিবুল বললেন, এবার ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেলেও এই দুজন নিজেদের সমৃদ্ধ করে নিতে পারবেন ভবিষ্যতের জন্য।
“দুজনের জন্যই ভালো সুযোগ। যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে তাদের খেলাবে, তাহলে তাদের নতুন ক্যারিয়ার শুরু হবে। আর যদি একাদশে না থাকে, তাহলেও তারা নিজেদের প্রস্তুত করার সুযোগ পাবে। কারণ পরবর্তীতে যখন তারা সুযোগ পাবে তখন তাদের কাছে পরিবেশটা নতুন মনে হবে না।”
“এসব মাথায় রেখেই , ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই স্কোয়াডটা বড় করা হয়েছে। যারা খেলার সুযোগ পাবে না তারা যেন দলের সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে।”