ক্যাটাগরি

কর্নওয়ালকে আড়ালে রাখল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রস্তুতি যেন আদর্শ না হয়, এজন্য গা গরমের ম্যাচে কোনো বাঁহাতি স্পিনার বা স্পেশালিস্ট অফ স্পিনার রাখেনি বিসিবি একাদশ। ম্যাচের শেষ দিনে অনেকটা একই কৌশল নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজও। সাইফ-সাদমান-ইয়াসিররা যে বাংলাদেশের টেস্ট স্কেয়াডের অংশ, ক্যারিবিয়ানদের সেটি জানা না থাকার কারণ নেই। এজন্যই হয়তো কর্নওয়ালের বোলিংয়ে বেশি অভ্যস্ত হতে দেওয়া হলো না তাদের। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া এই অফ স্পিনারই হবেন টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র।

তিন দিনের ম্যাচটির শেষ দিনে বাংলাদেশের খানিকটা প্রাপ্তি বলতে সাদমান-ইয়াসিরের ব্যাটিংই। খুব দারুণ কিছু না হলেও শেষ দিনে ২ ঘণ্টা উইকেটে কাটাতে পেরেছেন সাদমান, ১ ঘণ্টা ইয়াসির। আউট হননি দুজনের কেউই।

ভবিষ্যতের জন্য প্রাপ্তি বলতে মুকিদুল ইসলাম ও সৈয়দ খালেদ আহমেদের বোলিং। তরুণ পেসার মুকিদুলের শিকার ৪ উইকেট, টেস্ট দলে জায়গা না পাওয়া খালেদের ৩টি।

ম্যাচ অনুমিতভাবেই ড্র। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে রোববার ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ২৯১ রানে। বিসিবি একাদশ ২ উইকেটে ৬৩ রান তোলার পর নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টা আগে ড্র মেনে নেয় দুই দল।

শেষ দিনে দুর্দান্ত বোলিং করেন বিসিবি একাদশের তরুণ পেসার মুকিদুল ইসলাম।

শেষ দিনে দুর্দান্ত বোলিং করেন বিসিবি একাদশের তরুণ পেসার মুকিদুল ইসলাম।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দিন শুরু করে ৫ উইকেটে ১৭৯ রান নিয়ে। দিনের শুরুতেই বিসিবি একাদশ পায় সাফল্য। আগের দিনের ৮০ রানেই এনক্রুমা বনারকে থামান সৈয়দ খালেদ আহমেদ। অসাধারণ ক্যাচ নেন কিপার নুরুল হাসান সোহান।

আরেক প্রান্তে মুকিদুল ৪ রানে ফিরিয়ে দেন কর্নওয়ালকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তখন ৭ উইকেটে ১৯০।

জশুয়া দা সিলভা ও রেমন রিফার সেখান থেকে টেনে নেন দলকে। টেস্টের জন্য প্রস্তুতিও খারাপ হয়নি তাদের। অষ্টম উইকেটে দুজন গড়েন ৮২ রানের জুটি।

১১৬ বলে ৪৬
রান করে জশুয়া ফেরেন মুকিদুলের শর্ট বল পুল করে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে। এই জুটি ভাঙার পর আর বেশিক্ষণ টেকেনি দলের ইনিংস। রিফার অপরাজিত থেকে যান ৯৪ বলে ৪৯ করে।

বিসিবি একাদশের ব্যাটিংয়ের শুরুতে আবারও ছিল সাইফ হাসান ও সাদমানের প্রস্তুতির আড়ালে একাদশে জায়গায় প্রচ্ছন্ন লড়াই। সেখানে আবারও ব্যর্থ সাইফ। সাদমান এগিয়ে গেলেন খানিকটা।

নতুন বলে কেমার রোচ ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের আগ্রাসী বোলিংয়ের সামনে অবশ্য নড়বড়ে ছিলেন দুজনই। এই দুজনের বল কয়েকবার ব্যাটের কানায় লাগার পর সাইফ (৭) এলবিডব্লিউ হন রেমন রিফারের বাঁহাতি পেসে।

শেষ দিনে অপরাজিত থাকেন সাদমান ইসলাম ও ইয়াসির আলি চৌধুরি।

শেষ দিনে অপরাজিত থাকেন সাদমান ইসলাম ও ইয়াসির আলি চৌধুরি।

রিফারের বাড়তি লাফানো এক বল শুন্য রানে বিদায় করে দেয় তিনে নামা মোহাম্মদ নাঈম শেখকে। এরপর আর উইকেট পড়েনি।

সাদমান আঁকড়ে রাখেন উইকেট। ইয়াসির খেলেন কিছু শট। মূল বোলাররা আক্রমণে না আসায় অবশ্য কাজটা কিছুটা সহজ হয় তাদের। ৮১ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন সাদমান, ৫৬ বলে ৩৩ ইয়াসির।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ২৫৭

বিসিবি একাদশ ১ম ইনিংস: ১৬০

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ৮৯.২ ওভারে ২৯১ (আগের দিন ১৭৯/৫) (বনার ৮০, জশুয়া ৪৬, কর্নওয়াল ৪, রিফার ৪৯*, পেরমল ৭, ওয়ারিক্যান ২ ; খালেদ ১৬-২-৪২-৩, মুকিদুল ১৭.২-৪-৫৯-৪, সাইফ ১৭-২-৪৫-২, রিশাদ ২১-৩-৮৪-০, শাহিন ১১-১-৩৬-০, হৃদয় ৭-০-২১-১)।

বিসিবি একাদশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৮৯) ২৯ ওভারে ৬৩/২ (সাদমান ২৩*, সাইফ ৭, নাঈম ০, ইয়াসির ৩৩*; রোচ ৪-৩-২-০, গ্যাব্রিয়েল ৪-৩-৫-০, পেরমল ১১-৪-২১-০, রিফার ৪-০-৭-২, জোসেফ ৪-০-১৭-০, বনার ২-০-১১-০)

ফল: ম্যাচ ড্র।