রোববার মহাখালীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আইসিটি মন্ত্রণালয় আমাদের বলেছে, ৪ তারিখের মধ্যে ওই অ্যাপ মোবাইলে পাওয়া যাবে। এর মধ্যে গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপ দেওয়া হবে।”
সোমবারের মধ্যে দেশের সব জায়গায় করোনাভাইরাসের টিকা পৌঁছে যাবে বলেও সাংবাদিকদের জানান অধ্যাপক খুরশীদ আলম।
“টিকা বিতরণের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আজকালের মধ্যে দেশের সব জায়গায় টিকা পৌঁছে দিতে পারবে। আর দেরি হবে না এটুকুই বলতে পারি।”
তিনি জানান, ইতোমধ্যে টিকাকেন্দ্রগুলোতে বুথ তৈরি করা হয়েছে। ভ্যাকসিনেটর ও স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণও শেষ পর্যায়ে।
“সকল জেলা-উপজেলার ফোকাল পার্সনদের সঙ্গে কাল (সোমবার) আমাদের একটা মিটিং আছে। তাদের কাছ থেকে আমরা একটা ফিডব্যাক নেব যে তারা কী কী সমস্যা ফিল করছেন। যে সমস্যাগুলো আমরা ঠিক করব।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর টিকার নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন (www.surokkha.gov.bd) সীমিত আকারে উন্মুক্ত করা হয়।
মোবাইল অ্যাপ চালু হলেও তার মাধ্যমেও নিবন্ধনের কাজটি করা যাবে। টিকা নিতে আগ্রহী সবাইকেই নিবন্ধনের কাজটি করতে হবে। সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে শুরু হবে গণ টিকাদান।
যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে তাদের সহায়তা করবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে স্থানীয় আইসিটি কার্যালের কর্মীদের সহায়তায় স্বাস্থ্য বিভাগ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
“প্রত্যেকটা উপজেলায় ইন্টারনেট কানেকশনসহ ল্যাপটপসহ দেওয়া আছে। আমরা একটা চিন্তা করেছি, যারা অনলাইনে আবেদন করতে পারবে না, স্থানীয় আইসিটির লোক আছে, তাদের সহায়তায় নিবন্ধন করে দেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার আগে এলাকায় ঘোষণা দিয়ে দেওয়া হবে যার যখন সুবিধামতো রেজিস্ট্রেশন করে যান। যদি ১০০ জনের রেজিস্ট্রেশন হয়ে যায় তাহলে পরপরই আমরা একটা ডেট দিয়ে দিব। ওই ১০০ জন ওইদিন এসে টিকা নিবে। রেজিস্ট্রেশন হবে অনলাইনেই, আমাদের লোকজন হেল্প করবে।”
আরও খবর-
টিকা: আপাতত শুধু ওয়েবসাইটে সীমিত নিবন্ধনের সুযোগ