যাদের বেছে নেওয়া নাম গত কয়েক বছর ধরে প্রায় সময়ই বিজয়ী হয়েছে, সেই নরওয়ের আইনপ্রণেতারাই এ তিনজনের মনোনয়নে সমর্থন দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্ট সদস্য থেকে শুরু করে আগে এ পুরস্কারজয়ী ব্যক্তিসহ কয়েক হাজার মানুষ প্রতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য তাদের পছন্দের যে কারও নাম প্রস্তাব করতে পারেন; এক্ষেত্রে নোবেল কমিটির সমর্থন বা স্বীকৃতির প্রয়োজন পড়ে না।
রোববার এ বছরের পুরস্কারের জন্য নাম প্রস্তাবের শেষ দিন।
২০১৯ সাল বাদে নরওয়ের আইনপ্রণেতাদের দেওয়া নাম ২০১৪ সাল থেকে প্রতিবছরই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে বলে জানিয়েছেন অসলোর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক হেনরিক উরডাল।
বিজয়ী যারা নির্ধারণ করে, সেই নরওয়ের নোবেল কমিটি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এ কমিটি অবশ্য গত ৫০ বছর ধরে কখনোই প্রস্তাবকারী বা কারা কারা মনোনয়ন পাওয়ার পরও পুরস্কার জিততে পারেননি, তাদের নাম জানায়নি।
তবে নাম প্রস্তাবকারীরা চাইলে তাদের বেছে নেওয়া নাম প্রকাশ করতে পারেন।
নরওয়ের আইনপ্রণেতাদের মধ্যে চালানো রয়টার্সের এক জরিপে থুনবার্গ, নাভালনি, ডব্লিউএইচও এবং দরিদ্র দেশগুলোর কোভিড-১৯ এর টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিতে নেওয়া ‘কোভ্যাক্স’ কর্মসূচির নাম জানা গেছে।
মনোনয়ন পাওয়া অন্যদের মধ্যে আছে বেলারুশের রাজনৈতিক কর্মী সভেতলেনা তিখানোভস্কিয়া, মারিয়া কোলেস্নিকোভা এবং ভেরোনিকা তিপকালোর নাম। মানবাধিকার সংগঠন হাঙ্গেরিয়ান হেলসিংকি কমিটি এবং নাগরিক অধিকারের পক্ষে থাকা পোলিশ বিচারকগোষ্ঠী আইইউএসটিআইটিআইএ-র নামও চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে।
মনোনয়ন পাওয়াদের তালিকায় আরও আছে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, নেটো, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র, স্কাউট আন্দোলন, স্বাধীন পশ্চিম সাহারার দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাওয়া আমিনাতু হায়দারের নাম।
অক্টোবরে চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।