সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূর আহমদ জানান, রোববার সকাল থেকে কোস্টগার্ড সরকারের এই
নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করছে।
গত বছর ১২ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সেন্টমার্টিন দ্বীপের ছেঁড়াদিয়া এলাকায় যাওয়া নিষিদ্ধ করে। পরে পরিবেশ অধিদপ্তর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট আরিফুজ্জামান রনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা পর্যটকদের ছেঁড়াদিয়া দ্বীপে যেতে দিচ্ছেন
না। তবু কিছু পর্যটক কোস্টগার্ড সদস্যদের অগোচরে যাতায়ত করতেন। রোববার থেকে কড়াকড়ি আরোপ করেছেন তারা।
ধর্মঘটে যাওয়া ব্যবসায়ীদের দাবি, পর্যটকদের সেন্টমার্টিন আসার প্রধান আকর্ষণ ছেঁড়াদ্বীপ ভ্রমণ।
চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন, “সেন্টমার্টিন দ্বীপে স্থানীয় ১০ হাজার বাসিন্দার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা আরও চার হাজার মানুষ বাস করে। তাদের মধ্যে ছয় হাজারের বেশি মানুষ পর্যটন নির্ভর।”
ধর্মঘটে দ্বীপের দোকানপাট, হোটেল-কটেজ ও পরিবহনসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবকিছু বন্ধ রয়েছে। তবে রেস্তোরাঁ ও ওষুধের দোকান খোলা রয়েছে।
সেন্টমার্টিনের হোটেল মালিক খোরশেদ আলম বলেন, “ছেঁড়াদ্বীপে যাতায়ত নিষিদ্ধ করা হলে সেন্টমার্টিন আকর্ষণ হারাবে। এতে ক্ষতির মুখে পড়বে হোটেল মালিকসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।”
ধর্মঘটে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে যাওয়া ‘অন্তত সাড়ে তিন হাজার পর্যটক দুর্ভোগে পড়েছে’ বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তোফায়েল আহমদ।
তিনি বলেন, চলতি পর্যটন মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সাতটি, কক্সবাজার থেকে একটি এবং চট্টগ্রাম থেকে একটি পর্যটন জাহাজ সেন্টমার্টিনে যাতায়ত করছে। এসব জাহাজে প্রতিদিন অন্তত সাড়ে তিন হাজার পর্যটক আসা-যাওয়া করে। ধর্মঘটের কারণে ওই পর্যটকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।