আগামী মার্চে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে এই সিরিজ খেলতে দেশ ছাড়ত তারা। দক্ষিণ আফ্রিকা এখন কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ধাক্কার সঙ্গে লড়াই করছে। তাই এই মুহূর্তে ঝুঁকি না নিতে সফর স্থগিতের কথা মঙ্গলবার জানায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। পরে এক বিবৃতিতে স্মিথ জানান, সিরিজ আয়োজনে কতটা পরিশ্রম করছিলেন তারা।
“সিএর সিদ্ধান্তে আমরা ভীষণ হতাশ। তাদের প্রতিটি প্রত্যাশা যেন আমরা পূরণ করতে পারি, তা নিশ্চিত করতে সাম্প্রতিক সময়ে সিএসএ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছিল। জৈব-সুরক্ষা বলয়ে এটি আমাদের দীর্ঘতম সিরিজ হওয়ার কথা ছিল। তাই শেষ মুহূর্তে সিএর এমন সিদ্ধান্ত হতাশাজনক।”
এই সিরিজ আয়োজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন স্মিথ। যেখানে কঠোর বিধিনিষেধের পরিকল্পনা ছিল সিএসএর। এর মধ্যে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের জন্য আগের চেয়ে দীর্ঘ কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ, হোটেল স্টাফ ও পরিবহন কর্মীসহ অন্যদের কোয়ারেন্টিনে রাখা, সফরকারীদের জন্য ভিআইপি চিকিৎসা ব্যবস্থা।
ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা শুয়াইব মাঞ্জরার মতে, অস্ট্রেলিয়ান বোর্ডের কাছে পাঠানো তাদের প্রোটোকল প্রস্তাব ছিল বিরল।
“সিএর কাছে যে প্রোটোকল আমরা প্রস্তাব করেছিলাম, তা ছিল অভূতপূর্ব। প্রথমত, আমরা ঠিক করেছিলাম, অস্ট্রেলিয়ান দলের আগমনের ১৪ দিন আগে আমাদের দল জৈব-সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করবে।”
দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। ৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হওয়ার পর চার জন বাদে টেস্ট স্কোয়াডের বাকিরা দেশে ফিরবেন। দেশে ফিরে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল কুইন্টন ডি কক, কাগিসো রাবাদাদের। এখন সিরিজ স্থগিত হলেও আগের পরিকল্পনা অনুযায়ীই দেশে ফিরবেন তারা। টি-টোয়েন্টি দল পাকিস্তান পৌঁছাবে বুধবার।