বুধবার দুপুরে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে
জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের ডিসি জাকির হাসান।
গ্রেপ্তাররা হলেন, গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজারের উত্তর খাইলকৈর এলাকার
আজিজুল হকের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৩), তার সহযোগী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার পাইকপাড়ার
শরীফুল ইসলামের ছেলে সুমন মিয়া (২৭), গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার সারদাগঞ্জ বর্ষাডাঙ্গা
এলাকার আব্দুল মোতালেব তালুকদারের ছেলে মো. রাসেল তালুকদার (৩৫), নওগাঁর আত্রাই থানার
সমাসপাড়ার কোরবান সরদারের ছেলে মো. জহির উদ্দিন (৩২) এবং রংপুর মহানগরের হারাগাছ থানার
গোফরটারী এলাকার মো. বকুল মিয়ার ছেলে মো. সাহাবুল ওরফে আইজুল (৩৭)।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশের ডিসি জাকির জানান, ঘটনার শিকার তরুণী নৃত্যশিল্পী
হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে থাকেন।
গত ৩১ জানুয়ারি রাতে এই তরুণীর এক সহকর্মীর কাছে গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর ফোনে
অনুষ্ঠানের জন্য একজন অভিনেত্রী চান। তিনি জাহাঙ্গীরকে এ তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে
দেন। এরপর জাহাঙ্গীদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সম্মতি জানান তিনি।
৩১ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে এই শিল্পী ইজিবাইকে করে কাশিমপুরের হাতিমারা
এলাকায় যান। সেখান থেকে দুই সহযোগীসহ জাহাঙ্গীর তাকে সারদাগঞ্জের বর্ষাডেঙ্গা এলাকার
রাসেল তালুকদারের টিনশেড ঘরে নিয়ে যান।
সেখানে নেওয়ার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই তরুণীকে ওই ঘরে আটকে গ্রেপ্তাররা
দলবেঁধে ধর্ষণ করেন বলেন তিনি।
গ্রেপ্তাররা পরস্পরকে ডাকাডাকির থেকে তাদের নাম নিশ্চিত হন ভুক্তভোগী তরুণী।
ওই রাতে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে তার সহকর্মী নাট্যশিল্পীকে ঘটনায় জানান এই তরুণী।
এ ঘটনায় বুধবার সকালে তরুণী মামলা করার পর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে
জানান পুলিশ কর্মকর্তা।