বুধবার ঢাকায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের
উপস্থিতিতে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় জাইকা। খাদ্য সচিব মোসাম্মৎ
নাজমানারা খানুম, জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরকার ও জাইকার প্রতিনিধি
ইয়োহ হায়াকাওয়া ‘রেকর্ড অফ ডিসকাশনে’ স্বাক্ষর করেন।
এই চুক্তির ফলে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ; বিভিন্ন প্রকার
নীতি প্রণয়ন; মানসম্মত কার্যপদ্ধতি প্রণয়ন; নীতিমালা যুগোপযোগী করা; কৌশলগত পরিকল্পনা
২০২১-২০২৬ প্রণয়ন; বিভিন্ন প্রকার রেফারেন্স ল্যাব স্থাপন; বিশেষজ্ঞ পরামর্শক নিয়োগের
বিষয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করবে জাইকা।
চুক্তি শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদার বলেন, “আমাদের চাষযোগ্য
জমির পরিমাণ মাথাপিছু অন্য অনেক দেশের চেয়ে কম এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব পৃথিবীর সর্বোচ্চ।
এ সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের
আমলে ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা
করা হয়েছে।”
দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সুদৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের
কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জাইকা এদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে সহায়তা প্রদান
করলেও নিরাপদ খাদ্যের জন্য এ প্রকল্পটি প্রথম উদ্যোগ।
জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য
কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তায় গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করবে। জাপান সরকারের জাইকা বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও
সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।