বুধবার এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন
ধার্য থাকলেও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন
(পিবিআই) তা না পারায় ঢাকার মহানগর
হাকিম সত্যব্রত শিকদার নতুন তারিখ ঠিক করে দেন।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল গত বছর ৭ ডিসেম্বর এ আদালতেই মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক তার জবানবন্দি শুনে পিবিআইকে
তদন্ত
করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
দণ্ডবিধির ১২০ (খ) (১)/১২৪ (ক)/ ৫০৫ (ক) ধারায় করা এ
মামলার
আর্জিতে বলা হয়, ইসলামকে ‘ঢাল হিসেবে ব্যবহার’ করে আসামিরা
ধর্মের ‘আজগুবি’ ব্যাখ্যা দিয়ে ‘বিদ্বেষপূর্ণ, কাল্পনিক,
উত্তেজনাকর ও উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিচ্ছেন। তারা বাঙালি মুসলমান
সমাজের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও সংবিধান সম্পর্কে
‘বিদ্বেষ সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক’ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন।
গতবছর ১৩ নভেম্বর
ঢাকার গেণ্ডারিয়ার ধূপখোলার মাঠে ‘তৌহিদী জনতা ঐক্যপরিষদের’ ব্যানারে এক সমাবেশ
থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করা হয়।
একই দিনে
রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে
রিসালাত কনফারেন্সে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত
যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য
স্থাপনের বিরোধিতা করেন।
এরপর গত ২৭
নভেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক মাহফিলে অংশ নিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনাইদ
বাবুনগরী হুমকি দেন,
যে কোনো দল ভাস্কর্য বসালে তা ‘টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেওয়া’ হবে।
তাদের এ ধরনের
বক্তব্যের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যেই কুষ্টিয়া শহরে জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের ভাঙচুর চালানো হয়।
এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু
ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মালেকও রাষ্ট্রদ্রোহের
অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন, সেখানে শুধু মামুনুল হককে আসামি করা হয়েছে। আগামী ৩ মার্চ ওই
মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দির রেখেছে আদালত।