ক্যাটাগরি

করোনাভাইরাসের বিস্তার কমাতে পারে অক্সফোর্ডের টিকা: গবেষণা

টিকার এই সফলতাকে ‘একেবারেই দুর্দান্ত’ বলে এর প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। তিনি বলেন, ‘‘গবেষণার ফলের ভিত্তিতে এ টিকাকেই মহামারী থেকে পরিত্রাণের উপায় বলে মনে হচ্ছে।”

বিবিসি জানায়, এই প্রথম কোনও টিকা করোনাভাইরাস সংক্রমণ হ্রাসে কার্যকর বলে দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯৬ লাখ মানুষকে কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।

যারা টিকা পেয়েছেন তাদের উপর নতুন এ গবেষণা চালানো হয়। যদিও গবেষণা প্রতিবেদন এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোথাও প্রকাশ করা হয়নি। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপর অক্সফোর্ডের টিকার ‘যথেষ্ট’ প্রভাব রয়েছে।

যদি তাই হয় তবে এই টিকা কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করবে। যারা এই টিকা গ্রহণ করেছেন তারা নিজেদের পাশাপাশি পরোক্ষভাবে অন্যদের সংক্রমিত হওয়া থেকেও সুরক্ষা দিতে পারবেন।

এক টুইটে হ্যানকক এই গবেষণাকে ‘সত্যিই উৎসাহব্যাঞ্জক’ বলে বর্ণনা করেন। বিবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হ্যানকক বলেন, ‘‘নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এই টিকা ভাইরাসরে সংক্রমণ কমাতে পারে। যেটা আমাদের এই মহামারী থেকে পরিত্রাণে সাহায্য করবে।”

ইউনিভার্সটি অব অক্সফোর্ড এ গবেষণা চালাচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদলই ওই টিকার ফর্মুলা আবিষ্কার করেছেন। তাদের গবেষণায় দাবি করা হয়, অক্সফোর্ডের টিকার একটি ডোজেই কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে মানবদেহে তিন মাসের জন্য ৭৬ শতাংশ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এই তিন মাসে অ্যান্টিবডির পরিমাণ না কমে একই থাকে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দুই ডোজের মধ্যে চার থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধান থাকার কথা বলা হয়েছে। গবেষকরা বলেন, এই গবেষণা প্রতিবেদনের ফলের ভিত্তিতে বলা যায়, দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান যত বেশি অর্থাৎ ১২ সপ্তাহের ব্যবধান হলে টিকার কার্যকারিতার সময় বাড়বে।

টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর মানবদেহে ভাইরাসের বিরুদ্ধে ৮২ শতাংশ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।