প্রায় দুই বছর ধরে ধীরে ধীরে আঁকা তার ছবিগুলো থেকে বাছাই করা ৪০টি ছবি নিয়ে আয়োজন করা হয় ‘অনুভূতিকে আঁকা’ শিরোনামে এ প্রদর্শনীর। শিল্পী এঁকেছে গত ২-৩ বছর ধরে, যার বয়স মাত্র ৫ বছর ৪ মাস।
চিত্রপ্রদর্শনীর একটি অংশ
রঙের কাজ, ইচ্ছে মতো
শিল্পীর মা তাসকিন আনহার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ছোটবেলায় বই খাতার সঙ্গে পরিচয় করার আগে রঙতুলি কিনে দিয়েছেন রূপরূপালীকে। উদ্দেশ্য ছিল নতুন একটি জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং শিল্পী যেন তার ইচ্ছেমতন তার সব অনুভূতির প্রকাশ ঘটাতে পারেন এ মাধ্যমে।
বৃষ্টি পড়ছে, মানুষগুলো ছুটে বেড়াচ্ছে
শহরে অনেক রোদ
আর ছবি আঁকেন তিনি তার ইচ্ছে মতন, কখনো সকালে বা মধ্যরাতে কিংবা বাবার কোলে বসে, এমনকি নাস্তার টেবিলে নাস্তা খেতে খেতে বা কখনও বিকেলে ছাদে রঙতুলির পসরা সাজিয়ে। শিল্পীর আরেকটি মজার বিষয় হলো তিনি যেখানে যান সেখানে তুলি আর রং অবশ্যই নিয়ে যান, কারণ তার নাকি বেড়াতে গেলেও ছবি আঁকা হয়।
ঠিক যেমনটি তার মা বলেছেন তেমনি তার ছবিগুলোতে আমরা দেখতে পাই, অনুভূতির বিস্তর প্রকাশ ঘটেছে প্রতিটি চিত্রকর্মে। ছবিগুলো প্রকৃতির সঙ্গে মেলামেশা, পশুপাখিকে পর্যবেক্ষণ, পরিবার ও বিদ্যালয়, গ্রাম, বেড়াতে যাওয়া, গল্পশোনা এবং রঙের বিভিন্ন ধরনের মিশ্রণ, সবকিছুর ভেতর যেন তার বেড়ে উঠার প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায়।
শহর দেখছে কেউ
বিভিন্ন ধরনের পাতার ছাপ দিয়ে আঁকা ছবি
এমন একটি আয়োজন মাথায় এলো কী করে জানতে চাইলে রূপরূপালীর মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান, কোয়ারেন্টাইনে প্রতিদিন ছবি আঁকা ছিল রূপরূপালীর রুটিনের মতো। তিনি বলেন, “আমি তাকে কখনো জোর করিনি। সে নিজে থেকেই আঁকে এবং কী আঁকবে, কিভাবে আঁকবে কোনভাবেই তাকে প্রভাবিত করা যায় না। অনেক ছবি জমে গেছে। রূপরূপালী পড়ে সহজপাঠ উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানে আমি ইচ্ছে করেই দিয়েছি কারণ তাদের কারিকুলাম আমার ভীষণ পছন্দ।”
রাতের ছায়া দেখে আঁকা
পাখি পর্যবেক্ষণ
“বিদ্যালয়ে যাওয়ার অনেক আগে থেকেই আমি তার ছবি আঁকার অভ্যাস গড়ে তুলি। তাই এসময়ে আমার মনে হলো সব ছবি প্রদর্শিত করলে নিশ্চয়ই সে আরো উৎসাহী হবে এবং নিজের এত ছবি দেখার পর নিশ্চয়ই অনেক আনন্দ পাবে। সেই প্রয়াস থেকে এ আয়োজন এবং রূপরূপালী খুব আনন্দিত ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত সব ছবি রেখে দেওয়ার জন্য এবং এভাবে তাকে চমকে দেওয়ার জন্য।
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |