বিবিসি জানায়, রিহান্নার টুইটের কয়েকঘণ্টা পরই কিশোরী জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের বোনের মেয়ে মিনা হ্যারিস কৃষক আন্দোলনের পক্ষে টুইট করেন।
তাদের টুইট মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়, লাখ লাখ মানুষ তাতে লাইক বা কমেন্ট করেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের করা নতুন তিন কৃষি আইন সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে গত বছর ডিসেম্বর থেকে ভারতীয় কৃষকরা সড়কে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছেন। রাজধানী দিল্লি সীমান্তে তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সহিংস রূপ নিয়েছিল।
ওইদিন কৃষকরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ট্রাক্টর নিয়ে মিছিল করে রাজধানীতে ঢুকে পড়ে এবং দিল্লির ঐতিহ্যবাহী লাল কেল্লায় অবস্থান নেয়। ওই দিন কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের সংঘর্ষ হয় এবং উভয় পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হন। আন্দোলনরত এক কৃষক সেদিন মারা যান।
‘বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে’ ভারত সরকার দিল্লিজুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়।
বিশ্বের বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সেদিনের সহিংসতার খবর প্রকাশ পায়।
মঙ্গলবার নিজের টুইটার একাউন্ট থেকে দিল্লিতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ার একটি নিউজ পোস্ট করে রিহান্না লেখেন, ‘‘কেন আমরা এ সম্বন্ধে কথা বলছি না?” #ফারমার্সপ্রোটেস্ট
পরদিন বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের পার্লামেন্টে ‘পূর্ণ বিতর্ক এবং আলোচনার পর কৃষি খাতে সংস্কারের জন্য ওই আইনগুলো পাস করা হয়েছে’।
‘‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবেদনশীল হ্যাশট্যাগ এবং মন্তব্যের প্রলোভনে, বিশেষ করে যখন তারকা এবং অন্যান্যরা এ কাজ করেন তখন সেটা সঠিকও না আবার দায়িত্বশীল আচরণও না।”
টুইটারে ১০ কোটি ১০ লাখের বেশি অনুসারী আছে রিহান্নার। ভারতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবথেকে জনপ্রিয় তারকাও তিনি।
It’s no coincidence that the world’s oldest democracy was attacked not even a month ago, and as we speak, the most populous democracy is under assault. This is related. We ALL should be outraged by India’s internet shutdowns and paramilitary violence against farmer protesters. https://t.co/yIvCWYQDD1 pic.twitter.com/DxWWhkemxW
— Meena Harris (@meenaharris) February 2, 2021