মামুন-উর-রশিদ বর্তমানে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। ওই ঋণ বিতরণের সময় তিনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি ও সিইও ছিলেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে ওই মামলাটি করেন বলে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের অতিরিক্ত এমডি মো. তারিকুল আজম, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড হেড অব এআরসিডি মো. আমিনুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার শেখ মোহাম্মদ মুনসুরুল করিম এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রগতি সরণী শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক শোয়াইব মাহমুদ তুহিন।
এছাড়া ‘সচেতন সাহায্য সংস্থা’ নামে ঋণ গ্রহণকারী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জেসমিন রশিদ, সভাপতি হাসনা হেনা এবং সাধারণ সম্পাদক নাছরিন আক্তারকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী ‘সচেতন সাহায্য সংস্থা’ (এনজিও) নামে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক থেকে এসওডি ঋণের নামে চার কোটি টাকা প্রদান করা হয়।”
ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া ওই অর্থ ‘সচেতন সাহায্য সংস্থা’ ক্ষুদ্রঋণ হিসেবে বিতরণ করার কথা থাকলেও তা না করে তা ‘আত্মসাৎ’ করা হয় এবং পরে আসামিরা অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে তা ‘পাচার করেন বলে অভিযোগ করেছে দুদক।
২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে ওই অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের ঘটনা ঘটে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯/৪৭৭ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।