১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের পর সন্ত্রাসের অভিযোগে ইউরোপে এই প্রথম ইরানের কোনও কর্মকর্তা বিচারে সাজা পেলেন।
৪৯ বছর বয়স্ক আসাদি ভিয়েনার ইরানি দূতাবাসে কাজ করতেন। ২০১৮ সালের জুনে জার্মানিতে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে তাকে বিচারের জন্য বেলজিয়ামে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের এন্টুয়ার্প শহরের আদালত তাকে জেল দিয়েছে। তার সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে আরও তিনজন।জার্মানি, ফ্রান্স এবং বেলজিয়াম পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ফরাসি কর্মকর্তারা বলছেন, আসাদি ইরানি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছিলেন এবং তেহরানের নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছিলেন।
ফ্রান্সে নির্বাসিত ইরানি বিরোধীদল ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব রেসিসটেন্স অব ইরান’ (এনসিআরআই) এর সমাবেশে আসাদি বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে অভিযোগ আছে। ইরান এনসিআরআই-কে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসাবেই দেখে।
প্যারিসের কাছে ২০১৮ সালে এনসিআরআই’র ওই সমাবেশে হামলার পরিকল্পনা শেষমেশ ব্যর্থ হলেও হামলা চেষ্টার অভিযোগে আসাদি বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেলজিয়ামের কৌঁসুলিরা।
তবে বিচারের শুনানিতে আসাদি উপস্থিত ছিলেন না।বিচারকাজ চলেছে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রুদ্ধদ্বার কক্ষে। এই বিচার নিয়ে আসাদি কিংবা তার আইনজীবীরা কোনও মন্তব্যও করেননি।
রয়টার্সের হাতে আসা পুলিশের নথি থেকে দেখা গেছে, গত মার্চে আসাদি কর্তৃপক্ষকে সতর্ক দিয়ে বলেছিলেন, তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে কয়েকটি গোষ্ঠী থেকে এর পাল্টা জবাব আসতে পারে। সেকারণেই তার বিচারের সময় নেওয়া হয়েছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বোমা হামলা পরিকল্পনার জন্য ফ্রান্স ইরানের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে দায়ী করেছে এবং দুই ঊর্ধ্বতন ইরানি কর্মকর্তার সম্পত্তি জব্দ করেছে। ওদিকে, ইরান হামলা পরিকল্পনাকে বানোয়াট বলে দাবি করেছে।
আদালতের বাইরে মামলার এক আইনজীবী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, একজন কূটনীতিকও যে অপরাধমূলক কাজ করে পার পেতে পারেন না তাই দেখিয়ে দিয়েছে বিচারের রায়।