এবছর শুধু ফুটবল ও ক্রিকেট দিয়ে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হলেও আগামী বছর থেকে বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন ও কাবাডিও তাতে যোগ হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বৃহস্পতিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
আয়োজনের কথা জানানো হয়।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ঘোষণার এই
আয়োজনে
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আহমেদও ছিলেন।
মেয়র তাপস বলেন, “সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে এই প্রথম আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার ওয়ার্ডভিত্তিক ক্রিকেট ও ফুটবল খেলা হবে। আগামী বছর থেকে পাঁচটি খেলা অনুষ্ঠিত হবে।”
তিনি
জানান, দক্ষিণ
সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে গঠিত ৬৩টি ফুটবল দল এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। আর ক্রিকেটে অংশ নেবে ৬৪টি দল। ঢাকার ১৩টি মাঠে এই খেলা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্রিকেট ও ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে। উভয় ক্ষেত্রে রানার্সআপ দল পাবে তিন লাখ টাকা পুরস্কার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সম্পৃক্ততায় অনুষ্ঠেয় এই
প্রতিযোগিতায় পৃষ্ঠপোষকতা
করেছে মধুমতি ব্যাংক ও ওরিয়ন গ্রুপ।
মেয়র তাপস বলেন, “ঢাকায় ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের বাস। কিন্তু সেই অর্থে ঢাকা থেকে খেলোয়াড় বের করা যায়নি। এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ওয়ার্ড থেকে খেলোয়াড় তৈরির উদ্যোগের সূচনা হতে যাচ্ছে। ওয়ার্ডভিত্তিক এই আয়োজনের মধ্য দিয়েই জাতীয় পর্যায়ে খেলোয়াড় বের হয়ে আসবে।”
খেলার মাঠে আর কোরবানির পশুর হাট বসবে না বলেও ঘোষণা দেন মেয়র তাপস।
তিনি বলেন, “খেলার মাঠে আর কোরবানির পশুর হাট বসবে না। অন্য কোনো অনুষ্ঠানও হবে না। খেলার মাঠ সব সময় শুধু খেলার উপযোগী করে রাখা হবে। সারা বছর সেখানে বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠান হবে।”
বেদখল
মাঠগুলো
উদ্ধার করার কথাও বলেন তিনি।
সংবাদ
সম্মেলনে
দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, সচিব মো. আকরামুজ্জামান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক উপস্থিত ছিলেন।