সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক রুনু দাশ বলেছেন, “তিনি ছিলেন একজন বড় মাপের নারী নেত্রী। তার কাজগুলো দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল। তার কাছ থেকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।”
আয়েশা খানমের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার একটি স্মরণসভার আয়োজন করে মহিলা পরিষদ। সেখানেই তার জীবন ও কাজ নিয়ে আলোচনা করেন রুনু দাশ। তিনি আয়েশা খানমের আদর্শকে এগিয়ে নিতে সহকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
‘শ্রদ্ধায় স্মরণে আয়শা আপা’ শিরোনামে এই অনুষ্ঠানে মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, “আয়েশা আপা তার কাজ, আদর্শ, চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে দ্যুতি ছড়িয়েছেন সকলের মাঝে। তিনি সংগঠক এবং কর্মীদের সংগঠন পরিচালনা করার জন্য দুটি শক্ত হাত মনে করতেন। সংগঠনের কল্যাণে তিনি যে কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে কখনো পিছপা হতেন না।”
সভার শুরুতে আয়েশা খানমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় তার প্রতিকৃতির সামনে মোমবাতি জ্বালেন সংগঠনের কর্মীরা।
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম, লিগ্যাল এইড সম্পাদক সাহানা কবির স্মরণসভায় বক্তব্য দেন।
দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করার পর গত ২ জানুয়ারি মারা যান আয়শা খানম। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সহসভাপতি আয়শা খানম বাষট্টির ছাত্রআন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধসহ সব আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠক ছিলেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নিজেকে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুক্ত করেন তিনি।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের নির্যাতনের শিকার নারীদের পুনর্বাসন এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় কাজও তিনি করেন৷
শুরু থেকেই বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আয়শা খানম৷ প্রথমে ছিলেন সহ-সাধারণ সম্পাদক, দশক কাল আগে সভাপতি নির্বাচিত হন এবং আমৃত্যু তিনি সেই পদে ছিলেন।