ক্যাটাগরি

হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে পল্টন থানা ঘেরাওয়ের ঘোষণা

বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনে এক সংবাদ সম্মেলন
বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পল্টন থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি
ঘোষণা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ।

এছাড়া হকারদের ক্ষতিপূরণ বাবদ জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা প্রদান, নয়াপল্টনের
‘চায়না টাউন মার্কেটে’ হকারদের দোকান বরাদ্দ
দেওয়া এবং হকার্স নেতা দেলোয়ারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান
তিনি।

লিখিত বক্তব্যে সেকেন্দার হায়াৎ বলেন, “গত এক দশক ধরে
হকার আইন প্রণয়নের দাবিতে ধারাবাহিক লড়াই-সংগ্রাম করা হচ্ছে। করোনা মহামারীর লকডাউনের
কারণে গৃহবন্দি ১০ হাজার হকারের তালিকা সিটি করপোরেশন, ডিসি অফিস, সরকারের বিভিন্ন
মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো জায়গা থেকে হকারদের রেশন কার্ড, আর্থিক সহযোগিতা, ত্রাণ দেওয়া
হয়নি।”

তিনি বলেন, “শীতের মৌসুম হকারদের বেচা-বিক্রির উত্তম সময়। হকাররা ধার-দেনা
করে, মহাজন, বিভিন্ন সমিতি
থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে শীতের মালামাল কেনাবেচা করছে।

“এই
অবস্থায় ১ ফেব্রুয়ারি নয়া পল্টনে চায়না ডেভেলপারের মালিক বেলাল ও তার বাহিনী সরকারি
নির্দেশনা ছাড়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হকারদের কোটি টাকার মালামাল লুট করে
নিয়ে যায়, দোকানপাট
ভাংচুর করে ও
ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।”

গত ৩০ বছর ধরে নয়া পল্টনের সুপার মার্কেটের সামনে (বর্তমানে
চায়না টাউন মার্কেট) ফুটপাতে বসে হকাররা জীবন-জীবিকা করে আসছে উল্লেখ করে শ্রমিক নেতা
সেকেন্দার হায়াৎ বলেন,
“মার্কেটে দোকান পাওয়ার আশায় ৩০ বছর ধরে বেলাল সাহেবকে মাসিক
ভিত্তিতে টাকা দিয়ে আসছে, যা কয়েক কোটি টাকা হয়েছে। চায়না টাউন মার্কেটের
স্থাপনার কাজ শেষের দিকে। বেলাল সাহেবের নিকট হকাররা দোকান চাইলে উল্টো তাদের উচ্ছেদ
হতে হয়েছে।”

এই উচ্ছেদের কারণে হকাররা পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে বলে
জানান তিনি।

এদিকে গত ১৩ জানুয়ারি পুরানা পল্টন থেকে বই বিক্রেতা দেলোয়ার
হোসেনকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে দাবি করে সেকেন্দার বলেন, “দেলোয়ারকে দিয়ে
‘জজ
মিয়া’ নাটক
সাজানোর ষড়যন্ত্র চলছে।”

নয়াপল্টন ‘চায়না টাউন মার্কেটের’ মালিক বেলালকে গ্রেপ্তার এবং হকার্স নেতা দেলোয়ার হোসেনের
নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.
জসিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয়
নেতা অ্যাডভোকেট ফিরোজ আলম মামুন, শাহিনা আক্তার, রাকিব হোসেন ও ফারুক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।