ক্যাটাগরি

সেঞ্চুরির কাছে মুমিনুল, তিনশ ছাড়িয়ে লিড

চট্টগ্রাম টেস্টের
চতুর্থ দিন লাঞ্চ বিরতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের রান ৪
উইকেটে ১৪৯। প্রথম ইনিংসের ১৭১ রানের লিড মিলিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে ৩২০ রানে।

চট্টগ্রামের জহুর
আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ৩১৭ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই কোনো দলের।

শনিবার প্রথম সেশনে
২৯ ওভারে রান এসেছে ১০২।

৮৩ রানে ব্যাট করছেন
মুমিনুল। এই মাঠে ১০ টেস্টে এনিয়ে ৮ বার স্পর্শ করলেন ফিফটি। আগের ৭টির ৬টিকেই তিনি
রূপ দিয়েছেন সেঞ্চুরিতে।

লিটন ব্যাট করছেন
৩৮ রান নিয়ে। পঞ্চম উইকেটে ওভারপ্রতি প্রায় চার করে রান তুলে দুজনের যোগ করেছেন ৭৬
রান।

লাঞ্চের আগে ৭৬ রানের জুটির পথে মুমিনুল হক ও লিটন দাস।

লাঞ্চের আগে ৭৬ রানের জুটির পথে মুমিনুল হক ও লিটন দাস।

প্রথম সেশনে বাংলাদেশ
হারিয়েছে কেবল মুশফিকুর রহিমের উইকেট। ১৮ রানে ফিরেছেন বাংলাদেশের সফলতম টেস্ট ব্যাটসম্যান।

আগের দিন বাংলাদেশের
স্পিনাররা উইকেট থেকে অনেক টার্ন আদায় করে নিলেও চতুর্থ দিনে খুব বেশি টার্ন পেতে দেখা
যায়নি ক্যারিবিয়ান স্পিনারদের। পেসারদের বলেও ছিল না খুব ধার। মন্থর উইকেটেও তাই রান
এসেছে বেশ গতিময়তায়।

৩ উইকেটে ৪৭ রান
নিয়ে বাংলাদেশ শুরু করে দিন। দিনের শুরুটাই মুমিনুলের ছিল আত্মবিশ্বাসী। মুখোমুখি দ্বিতীয়
বলেই দুর্দান্ত এক অন ড্রাইভে বাউন্ডারি মারেন গ্যাব্রিয়েলকে। পরে রোচকে বাউন্ডারি
মারেন র‌্যাম্প শটে। গ্যাব্রিয়েল তার জন্য শরীর তাক করে শর্ট বলের কৌশল নেন। তাতে লাভ
হয়নি কোনো।

৩১ রান দিয়ে দিন
শুরু করে মুমিনুল পঞ্চাশে পৌঁছে যান অনায়াসেই। ৮৪ বলে পা রাখেন মাইলফলকে।

এর আগেই অবশ্য রাকিম
কর্নওয়াল ফিরিয়ে দেন মুশফিককে। পুল খেলার মতো যথেষ্ট শর্ট বল না হলেও মুশফিক চেষ্টা
করেন পুল খেলার। বল একটু নিচু হয়ে লাগে প্যাডে। ক্যারিবিয়ানদের জোরালো আবেদনে আম্পায়ার
শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সাড়া দেন অনেকক্ষণ ভেবে। রক্ষা হয়নি রিভিউ নিয়েও। বরং হারাতে
হয় রিভিউ।

ঊরুতে চোট পাওয়া
সাকিব আর হাসান মাঠে এলেও ব্যাটিংয়ে নামেননি। ছয়ে নেমে লিটন শুরুতে ছিলেন একটু অস্বস্তিতে।
তবে দ্রুতই সামলে নিয়ে থিতু হয়ে যান। দিনের দ্বিতীয় ঘণ্টায় মুমিনুল ও লিটন ১৬ ওভারেই
যোগ করেন ৬৬ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৩০

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ২৫৯

বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (আগের দিন ৪৭/৩) ৪৯ ওভারে ১৪৯/৪ (মুমিনুল ৮৩*, মুশফিক
১৮, লিটন ৩৮*; রোচ ৭-১-১৭-০, কর্নওয়াল ২১-২-৬১-৩, গ্যাব্রিয়েল ৯-০-২১-১, ওয়ারিক্যান
৯-০-৩০-০, বনার ২-০-১৩-০, ব্র্যাথওয়েট ১-০-৭-০)।