রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০১ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৭১ রানের লিড নেয় পাকিস্তান। ৬ উইকেটে ১২৯ রানে দিন শেষ করা দলটি এগিয়ে গেছে ২০০ রানে।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে আরেকটু বড় লক্ষ্য দিতে স্বাগতিকরা তাকিয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দিকে। এই কিপার-ব্যাটসম্যান খেলছেন ২৮ রানে।
এই সিরিজ দিয়ে টেস্টে ফেরা হাসান ৫৪ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
৪ উইকেটে ১০৬ রানে দিন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতেই হারায় কুইন্টন ডি কককে। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে যান আগের দিন শেষ বেলায় ঝড় তোলা এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
ভিয়ান মুল্ডারকে নিয়ে এগোতে থাকেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান টেম্বা বাভুমা। কিন্তু ৪৯ রানের সম্ভাবনাময় এই জুটির পতন হয় রান আউটে। ৩ চার ও এক ছক্কা ৩৩ রান করে ফেরেন অলরাউন্ডার মুল্ডার।
এরপরই হাসানের তোপের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। জর্জ লিন্ডে, কেশভ মহারাজ, আনরিক নরকিয়াকে বোল্ড করেন তিনি। টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো নেন ৫ উইকেট। মাঝে কাগিসো রাবাদা হন রান আউট।
এক প্রান্ত আগলে রাখা বাভুমা শেষ পর্যন্ত ৪৪ রানে অপরাজিত থেকে যান। ইনিংসে এটাই সফরকারীদের সর্বোচ্চ।
৭১ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান উইকেট হারায় দলের শূন্য রানে। রাবাদার বলে রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডাব্লিউ হন ইমরান বাট।
থিতু হয়ে ফেরেন আবিদ আলি। মহারাজের স্পিনে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। বাবর আজমকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি সফরকারী বাঁহাতি এই স্পিনার। এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন পাকিস্তান অধিনায়ক।
দলের হাল ধরার চেষ্টায় থাকা আজহার আলির প্রতিরোধ ভাঙেন লিন্ডে। কয়েক ওভার পর ফাওয়াদ আলমকেও ফেরান বাঁহাতি এই স্পিনার।
৭৬ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে এগিয়ে নেন রিজওয়ান ও প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা ফাহিম আশরাফ। দুইজনে গড়েন পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি।
দিনের দ্বিতীয় শেষ ওভারে লিন্ডের স্পিনে ২৯ রানে ফাহিম ধরা পড়েন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। ভাঙে ৫২ রানের জুটি। হাসানকে নিয়ে বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন রিজওয়ান। দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় লক্ষ্য দিতে তার দিকেই তাকিয়ে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ২৭২
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৬৫.৪ ওভারে ২০১ (আগের দিন ১০৬/৪) (বাভুমা ৪৪*, ডি কক ২৯, মুল্ডার ৩৩, লিন্ডে ২১, মহারাজ ১, রাবাদা ০, নরকিয়া ০; আফ্রিদি ১৩-২-৩৭-১, হাসান ১৫.৪-২-৫৪-৫, ফাহিম ৮-২-২০-১, নুমান ১৭-৮-৩৬-১, ইয়াসির ১২-২-৫৪-০)।
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ৫১ ওভারে ১২৯/৬ (ইমরান ০, আবিদ ১৩, আজহার ৩৩, বাবর ৮, ফাওয়াদ ১২, রিজওয়ান ২৮*, ফাহিম ২৯, হাসান ০*; রাবাদা ৭-৩-৪-১, নরকিয়া ৮-৫-২৪-০, মহারাজ ২১-৩-৭৪-২, মুল্ডার ৬-১-১১-০, লিন্ডে ৯-৫-১২-৩)।
