এই নিয়ে চীনে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য দ্বিতীয় আরেকটি টিকার অনুমোদন দেওয়া হল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিদেশে দুই মাস ধরে সর্বশেষ পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে চীনের জাতীয় চিকিৎসা পণ্য প্রশাসন শনিবার দুই ডোজের এই টিকাটির অনুমোদন দিয়েছে বলে সিনোভ্যাক জানিয়েছে।
তাদের বেইজিংভিত্তিক ইউনিট সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্স ফেব্রুয়ারির মধ্যে বড় ধরনের উৎপাদন শুরু করে প্রতি বছর একশ কোটিরও বেশি টিকা উৎপাদন করতে পারবে, এমন প্রত্যাশা করা হচ্ছে বলেও কোম্পানিটি জানিয়েছে।
এর আগে ডিসেম্বরে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ওষুধ কোম্পানি চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপের (সিনোফার্ম) অধীনস্ত বেইজিং বায়োলজিক্যাল প্রডাক্ট ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত টিকার অনুমোদন দিয়েছিল দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এ উভয় টিকা, পাশাপাশি অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা সিনোফার্মের আরেকটি টিকা, ইতোমধ্যেই চীনের টিকাদান কর্মসূচীতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই কর্মসূচীতে তিন কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন অপরিহার্য কর্মী ও ব্যক্তিদের টিকাগুলো দেওয়া হচ্ছে।
অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা ক্যানসিনো বায়োলজিকসের আরেকটি টিকা দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রকাশিত এক সংবাদে সিনোভ্যাক জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে ও লাওস সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সের উৎপাদিত করোনাভ্যাক টিকা ব্যবহারের জরুরি অনুমোদন দিয়েছে।
চীন বিশ্বের সব মানুষের সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক পাওয়া নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা গ্যাভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের গড়া প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সকে এক কোটি টিকার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।