নীলফামারীর ডিসির সম্মেলন
কক্ষে শনিবার বিকালে জেলা টিকাদান কমিটির সভায় এই
সিদ্ধান্ত হয়।
কমিটির সভাপতি ডিসি
মো. হাফিজুর
রহমান চৌধুরী
বলেন, রোববার সারাদেশের মত নীলফামারীতে
একযোগে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে।
“উদ্বোধনী দিনে প্রথম
টিকা নেবেন
নীলফামারী সদর হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ স্টাফ
নার্স জেসমিন
নাহার সেতু। এরপর নেবেন সিভিল সার্জন
জাহাঙ্গীর কবির।”
সভায় কমিটির সদস্যসচিব
সিভিল সার্জন
জানান, জেলায়
করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কেন্দ্র ও
বুথ স্থাপনের
কাজ সম্পন্ন
হয়েছে। সদর হাসাপাতাল
কেন্দ্রে প্রস্তুত
করা হয়েছে
১১টি বুথ। প্রথম পর্যায়ে ছয়টি
বুথ ব্যবহার
করে টিকা
দেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে অন্য
পাঁচটি বুথ
ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, এছাড়া জেলার অপর
পাঁচ উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে দুটি করে
বুথ স্থাপন
করা হয়েছে। আর সৈয়দপুর সেনানিবাস
হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থাপর করা হয়েছে
আরও একটি
বুথ। এ নিয়ে
জেলায় প্রস্তুত
রয়েছে মোট ২২টি বুথ। প্রতিটি বুথে দুইজন
টিকাদান কর্মী
ও চারজন
করে সেচ্ছাসেবক
কাজ করবেন। ইতোমধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ
দিয়ে প্রস্তুত
করা হয়েছে।
গত ৩১ জানুয়ারি
জেলায় প্রথম
পর্যায়ের ৬০
হাজার ডোজ
টিকা এসে
পৌঁছেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই টিকা দুই ডোজ
করে ৩০
হাজার জনকে
দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের নিদের্শনা অনুযায়ী বিশেষ ১৫ ক্যাটাগরিতে
২৬ হাজার ১১০ জন পাবেন এই টিকা। অন্যদের
রাখা হয়েছে
সাধারণ কোটায়।
শনিববার বিকাল সাড়ে
৩টা পর্যন্ত
জেলায় মোট
সাড়ে তিন
হাজার জন
অনলাইনে টিকা
নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে তিনি জানান।