জনস্বাস্থ্য অ্যাক্টিভিস্ট
এবং এই খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা এই প্রশ্ন তুলেছেন বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে।
সমালোচকদের ভাষ্য মতে,
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেকের কাছ থেকে দেশটির সরকার যে দামে টিকা কিনেছে,
তা ‘বেশি হয়েছে’।
ভারতের বেসরকারি খাতে
টিকার প্রতি ডোজ এক হাজার রুপিতে বিক্রির যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা নিয়েও অসন্তোষ
প্রকাশ করেছেন অনেকে।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে
উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাস টিকার প্রতি ডোজ ২০০ রুপি দিয়ে কিনেছে
ভারত সরকার। বলা হচ্ছে, এই দাম ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে দাম দিচ্ছে তার চেয়ে বেশি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন অক্সফোর্ডের
টিকার প্রতি ডোজ ১.৭৮ ডলার (১৯৫ রুপির কাছাকাছি) দিয়ে কিনছে বলে সম্প্রতি ফাঁস হওয়া
একটি তথ্যে বেরিয়ে এসেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
অপরদিকে তৃতীয় ধাপের
পরীক্ষায় থাকা ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের প্রতি ডোজ ২৯৫ রুপি দিয়ে কিনছে ভারত সরকার।
টিকার উৎপাদন খরচ সবচেয়ে
কম যে দেশগুলোতে তার অন্যতম ভারতে কেন বেশি দামে টিকা কেনা হচ্ছে- সেই প্রশ্ন তুলেছেন
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে অল ইন্ডিয়া
ড্রাগ অ্যাকশন নেটওয়ার্কের এস শ্রীনিবাসন বলেন, “সরকারের উচিত ছিল আরও ভালো একটি দাম
ঠিক করা এবং এই টিকা সবাইকে বিনামূল্যে দেওয়া উচিত।”
তার মতে, টিকার প্রতি
ডোজের দাম ১০০ রুপির কাছাকাছি হওয়া উচিত ছিল।
জনস্বাস্থ্য বিষয়ক
আইনজীবী লীনা মেংহানির মতে, সরকার কোম্পানির কাছে টিকার উৎপাদন খরচ, লাইসেন্সের শর্ত
এবং এ ধরনের অন্যান্য বিষয়গুলোতে স্বচ্ছতা চাইতে পারে।
মুনাফা ‘অযৌক্তিক’
হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে সেরাম ইনস্টিটিউটের
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, “এই গ্রহের কেউ
এটা ২০০ রুপির কমে দিচ্ছে না। আমরা একটি যৌক্তিক দাম নিচ্ছি, যেখানে সামান্য মুনাফা
থাকছে।
“২০০০ হাজার রুপির
টিকা (বেসরকারি খাতে দুই ডোজের জন্য প্রস্তাবিত খুচরা মূল্য) বিপুল হাসপাতাল খরচ থেকে
পরিবারগুলোকে রক্ষা করবে।”
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের
দেশগুলোতে বিতরণের লক্ষ্যে কোভ্যাক্স যে সব টিকা কিনবে, তার প্রতি ডোজের জন্য ৩ ডলার
দাম বেঁধে দিয়েছে সেরাম।
দামের এই পার্থক্য
কেন, সেই প্রশ্ন তুলে গবেষক ডা. অনন্ত ভান বলেছেন, “উৎপাদন খরচ প্রকাশিত না হওয়ায় এর
সঠিক মূল্য জানা কষ্টকর।”
তবে এই টিকা সাশ্রয়ী
মূল্যে গণমানুষের জন্য আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব বায়োএথিকসের
সভাপতি অনন্ত।