ক্যাটাগরি

বাংলাদেশের নিষ্ফলা প্রথম সেশন

চট্টগ্রাম টেস্টের
শেষ দিন প্রথম সেশনে কোনো উইকেট নিতে পারেনি বাংলাদেশ। চতুর্থ ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের
রান ৩ উইকেটে ১৯৭। জয়ের জন্য শেষ দুই সেশনে আরও ১৯৮ রান প্রয়োজন তাদের।

প্রথম ঘণ্টায় ওয়েস্ট
ইন্ডিজ ৩১ ওভারে যোগ করেছে ৮৭ রান। তবে রানের চেয়ে ক্যারিবিয়ানদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ
টিকে সেখানে। সেখানে দারুণ সফল মেয়ার্স ও বনার।

অভিষেকে সেঞ্চুরির
সুবাস নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গেছেন মেয়ার্স। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান অপরাজিত ৯১ রানে। আরেক
অভিষিক্ত এনক্রমা বনার অপরাজিত ৪৩ রানে।

আগের দিন গড়া ৫১
রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিকে এ দিন ১৩৮ রানে নিয়ে গেছেন দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটার।

জুটি ভাঙার তিনটি
পরিস্কার সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। মেয়ার্সের ৪৭ রানের তাইজুল ইসলামের বলে জোরালো
আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। বাংলাদেশ নেয়নি রিভিউ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লাগছিল
স্টাম্পে।

মেয়ার্সই একটু পর
জীবন পান ৪৯ রানে। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে স্লিপে ক্যাচ নিতে পারেননি নাজমুল হোসেন
শান্ত। যদিও সুযোগটি ছিল কঠিন। জীবন পাওয়ার বলেই মেয়ার্স পূরণ করেন ফিফটি।

এভাবেই চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞতায় প্রথম সেশনে বাংলাদেশকে হতাশ করেন এনক্রুমা বনার।

এভাবেই চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞতায় প্রথম সেশনে বাংলাদেশকে হতাশ করেন এনক্রুমা বনার।

আউট হতে পারতেন বনারও।
নাঈম হাসানের একটি তীক্ষ্ণ টার্ন করা বলা লাগে বনারের প্যাডে। এবারও রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ।
বনার বেঁচে যান ২৫ রানে।

উইকেটে টার্ন মিলছে
ভালোই, বাউন্স অসমান। ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা ভোগান্তিতেও পড়েন কয়েকবার। তবে ভয়ঙ্কর
হয়ে ওঠার মতো যথেষ্ট ধারাবাহিক ভালো বোলিং করতে পারেননি বাংলাদেশের স্পিনাররা।

সবচেয়ে হতাশার ছিল
নাঈমের বোলিং। তার কয়েকটি বল বিপজ্জনক হলেও প্রায় প্রতি ওভারেই শর্ট বল করে সরিয়ে দিয়েছেন
তিনি ব্যাটসম্যানদের চাপ।

প্রথম ঘণ্টার পর
মুস্তাফিজুর রহমানের পেস আক্রমণে এনেও লাভ হয়নি। প্রথম ওভারেই তাকে চার ও ছক্কা মারেন
মেয়ার্স। ধারহীন বোলিংয়ে কোনো প্রভাব তিনি রাখতে পারেননি।

দিনের প্রথম ঘণ্টায়
১৮ ওভারে আসে ৩৯ রান। পরের ঘণ্টায় আলগা বোলিং কাজে লাগিয়ে দুই ব্যাটসম্যান আদায় করে
নেন কিছু বাউন্ডারি। এই সময়ে ১৩ ওভারে আসে ৪৮ রান।

লাঞ্চের আগের ওভারে
জুটি ভাঙার কাছাকাছি গিয়েছিলেন তাইজুল। এবার বাংলাদেশ রিভিউ নিলেও মেয়ার্স টিকে যান
আম্পায়ার্স কলে।

আপাতত তাই হয়তো বাংলাদেশ
তাকিয়ে দ্বিতীয় নতুন বলে। লাঞ্চের ৯ ওভার পর চাইলে নেওয়া যাবে নতুন বল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৩০

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ২৫৯

বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২২৩/৮

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৯৫, আগের দিন ১১০/৩)
৭১ ওভারে ১৯৭/৩ (বনার ৪৩*, মেয়ার্স ৯১*; মুস্তাফিজ ৭-১-৩৪-০, তাইজুল ২৪-১২-২৫-০, মিরাজ
২৮-৩-৮২-৩, নাঈম ১২-১-৪৮-০)।