চট্টগ্রাম টেস্টের
শেষ সেশনে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ১২৯ রান। বাংলাদেশের সমীকরণ পাল্টায়নি
দিনের শুরু থেকে, এখনও প্রয়োজন ৭ উইকেট! দুই সেশনেও পতন হয়নি একটি উইকেটের।
চতুর্থ ইনিংসে ৩৯৫
রানের লক্ষ্যে ছুটে শেষ দিনে চা বিরতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৩ উইকেটে ২৬৬।
অভিষিক্ত দুই ব্যাটসম্যান
মেয়ার্স ও বনারের জুটি ২০৭ রানের। টেস্ট ইতিহাসের দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটারের দ্বিতীয়
সর্বোচ্চ জুটি এটি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ। চতুর্থ ইনিংসে দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটারের
সেরা জুটি এটিই।
২১৩ বলে ১১৭ রানে
অপরাজিত বাঁহাতি মেয়ার্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে অভিষেকে সেঞ্চুরি করা চতুর্দশ ব্যাটসম্যান
তিনি, বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেকে সেঞ্চুরি করা চতুর্থ ব্যাটসম্যান।
২৪২ বলের ম্যারাথন
ইনিংসে বনার অপরাজিত ৭৯ রানে।
বাংলাদেশের বোলিং
দিনজুড়েই ছিল অধারাবাহিক। অনেক বলেই টার্ন মিলেছে বেশ, বাউন্স অনেক সময়ই ছিল অসমান।
কিন্তু ক্যারিবিয়ানদের চাপে ফেলার মতো বা পরীক্ষা নেওয়ার মতো টানা ভালো জায়গায় বোলিং
করে যেতে পারেননি কেউ। বিশেষ করে অফ স্পিনার নাঈম হাসান প্রায় প্রতি ওভারেই করেছেন
আলগা বোলিং। উরুর চোটের কারণে মাঠে নামতে না পারা সাকিব আল হাসানের অভাব ফুটে উঠেছে
প্রকট হয়ে। এমনকি দ্বিতীয় নতুন বলেও সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি কেউ।
মেয়ার্স-বনারের জুটিতে
বাংলাদেশ ভাঙন ধরাতে পারত দিনের প্রথম ঘণ্টায়ই। জুটি ভাঙার তিনটি পরিস্কার সুযোগ এসেছিল
সামনে। মেয়ার্সের ৪৭ রানের তাইজুল ইসলামের বলে জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
বাংলাদেশ নেয়নি রিভিউ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লাগছিল স্টাম্পে।
মেয়ার্সই একটু পর
জীবন পান ৪৯ রানে। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে স্লিপে ক্যাচ নিতে পারেননি নাজমুল হোসেন
শান্ত। যদিও সুযোগটি ছিল কঠিন। জীবন পাওয়ার বলেই মেয়ার্স পূরণ করেন ফিফটি।
আউট হতে পারতেন বনারও।
নাঈম হাসানের একটি তীক্ষ্ণ টার্ন করা বলা লাগে বনারের প্যাডে। এবারও রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ।
বনার বেঁচে যান ২৫ রানে।
প্রথম ঘণ্টার পর
মুস্তাফিজুর রহমানের পেস আক্রমণে এনেও লাভ হয়নি। প্রথম ওভারেই তাকে চার ও ছক্কা মারেন
মেয়ার্স। ধারহীন বোলিংয়ে কোনো প্রভাব তিনি রাখতে পারেননি।
দিনের প্রথম ঘণ্টায়
১৮ ওভারে আসে ৩৯ রান। পরের ঘণ্টায় আলগা বোলিং কাজে লাগিয়ে দুই ব্যাটসম্যান আদায় করে
নেন কিছু বাউন্ডারি। এই সময়ে ১৩ ওভারে আসে ৪৮ রান।
লাঞ্চের আগের ওভারে
জুটি ভাঙার কাছাকাছি গিয়েছিলেন তাইজুল। এবার বাংলাদেশ রিভিউ নিলেও মেয়ার্স টিকে যান
আম্পায়ার্স কলে।
দ্বিতীয় সেশনে তেমন
কোনো সুযোগই দেননি মেয়ার্স ও বনার। ধৈর্য্যের পরীক্ষায় উতরে বনার পঞ্চাশ পূর্ণ করেন
১৬৪ বল খেলে। মুস্তাফিজের বলে বাউন্ডারিতে মেয়ার্স সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ১৭৮ বলে।
এরপরও হাল না ছেড়ে
দলের স্বপ্নকে সঙ্গী করে বিরতিতে গেছেন দুজন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৩০
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ২৫৯
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২২৩/৮
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৯৫, আগের দিন ১১০/৩)
৯৭ ওভারে ২৬৬/৩ (বনার ৪৩*, মেয়ার্স ৯১*; মুস্তাফিজ ১২-১-৬১-০, তাইজুল ৩৪-১৭-৩৬-০, মিরাজ
৩০-৩-৯২-৩, নাঈম ২১-৩-৬২-০)।