নিহত
মিশু আক্তার (১৮) উপজেলার গন্ধর্বপুর উত্তর ইউনিয়নের তারালিয়া গ্রামের রাসেল মিয়ার
স্ত্রী।
নিহত
মিশুর মা মরিয়ম বেগম বলেন, শনিবার সকালে মিশু বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যান। ওই দিন রাসেল
ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন।
“রোববার
সকালে রাসেলের বাড়ি থেকে ফোন করে বলে মিশু অসুস্থ। আমরা তাদের বাড়ি গিয়ে শুনি মিশু
হাসপাতালে। হাসপাতালে এসে মিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখি।”
তিনি
বলেন, “রাসেল আমার কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছিল। আমি এক লাখ টাকা দিয়েছি।
বলেছি বিয়ে নিবন্ধিত হলে আর এক লাখ টাকা দেব। কিন্তু তার আগেই আমার মেয়েকে পিটিয়ে
হত্যা করেছে।”
নয়
মাস আগে মিশুর সঙ্গে রাসেলের বিয়ে হয় বলে তিনি জানান।
রাসেল
হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রাসেল
সাংবাদিকদের বলেন, “মিশু রাতে আলাদা রুমে ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি তার মুখে
দিয়ে লালা পড়ছে। তখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
তবে
পুলিশ বলছে মিশুর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
হাজীগঞ্জ
থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, “মিশুর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ কারণে মিশুর
স্বামী রাসেলকে আটক করা হয়েছে।”
মৃতদেহ
ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান
ওসি আলমগীর।